বর্তমান সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌর এলাকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, এই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না। এদিকে আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের অন্যতম এই রাজনৈতিক দল অংশ নেওয়ার কথা বলেছে কিন্তু সেখানে রয়েছে শর্ত। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করা হলে তবেই নির্বাচনে যাবে বিএনপি। তবে বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে এমনটি জানানো হয়েছে বর্তমান ক্ষমতায় থাকা সরকারী দলের পক্ষ হতে। এ দিকে বর্তমান ইউপি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের নির্বাচনে যাওয়ার কথা বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে সেখানে মানতে হবে কিছু শর্ত।
তিনি বলেছেন, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে বিএনপির যে কেউ, তবে মানতে হবে শর্ত। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলের কেউ অংশগ্রহণ করলে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বাধা থাকবে না। তবে দলীয় প্রতীকে নয়, তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ি এলাকার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় মার্কা দিয়ে নির্বাচন করতে গেলে গ্রামীণ যে রাজনীতি, গ্রামীণ যে সমাজ এটা পুরোপুরিভাবে বিভক্ত হয়ে যায়।
সেখানে পছন্দটা খুব সীমাবদ্ধ হয়ে যায় মানুষের কাছে। সে কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় পর্যায়ে বা দলীয় মার্কা দিয়ে করব না। তবে দলের কেউ যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিতে চায় তা হলে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো বাধা থাকবে না। বিএনপির মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমাদের খুব একটা আগ্রহ নেই। এ জন্যই যে বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থাটা পুরোপুরি এ সরকারের হাতে পড়ে বিনষ্ট হয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে আগের রাতে নির্বাচন করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহসভাপতি আল মামুন আলম, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফসহ বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপির কোনো প্রার্থী। তাদের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আওয়ালীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এটা বিএনপির একটি অজুহাত মাত্র। বিএনপি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছে। এবার যেন আওয়ামীলীগের দাবি তোলা সেই বক্তব্য সটিক হলো। তবে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও আওয়ামীলীগ তাদের কর্মকান্ড একইভাবে চালিয়ে যাবে বলে মনে যাচ্ছে।