দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশের দুটি প্রধান দল নিজেদের দল গোছানো শুরু করেছে। নির্বাচনের আরো দুই বছর বাকি রয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের একদম শেষে কিংবা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের কৌশল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিবে কিনা সেই সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে ‘শর্ত’ রেখে বসে আছে, যার কারনে তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকরমীরাও জানেন না কী হতে পারে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বিএনপি কোনো আলোচনায় যাবে না। বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচনে যাবে অন্যথায় নয়। তাছাড়া তাদের (বর্তমান সরকারের) অধীনে কোনো নির্বাচনে নয়।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, আজ আইনের শা’সনের নামে বেআইনিভাবে অবিচার করছে। তারা যা করছে তা বিচার করছে না বরং রাজনৈতিক নি’/পী’ড়ন করছে। আগামী দিনে সা’ম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে হু’/ম’কির দিকে ফেলছে। এর সঙ্গে রাজনীতিতে বিভেদ তৈরি করছে।
এদিকে সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পরিষ্কার করে বলছি, আগে পদত্যাগ করুন, একটা নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা দিন। তারপর নির্বাচনে যাবে বিএনপি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে যে রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে সেটার প্রেক্ষাপটে বলা যায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্তৃক সুষ্ঠু নির্বাচন কোনোভাবে সম্ভব হবে না, অবশ্যই নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে।
বিএনপি’র আরেক নেতা মির্জা আব্বাস সেই সাথে সুর মেলালেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার যদি বলে, এই সরকারের মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা সম্ভব, সেটা তাদেরই কথা, প্রকৃতভাবে সম্ভব নয়। তাই এই বর্তমান এই সরকারের অধীনে কোনোভাবে নির্বাচন সম্ভব নয় এবং হতে দেওয়াও হবে না।