জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে গণতন্ত্র রক্ষা করেছেন।
রোববার (১৮ জানুয়ারি) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সংরক্ষিত মহিলা আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি এ কথা বলেন।
মজিবুল হক চুন্নু বলেন, জাতীয় সংসদের আইন অনুযায়ী ৫০টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের মধ্যে ভাগ করে জাতীয় পার্টি দুটি আসন পেয়েছে। জাতীয় পার্টির সংসদীয় বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম ও ঠাকুরগাঁও জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি নুরুন নাহার দুজনই আমার দলের পরীক্ষিত ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। দলের পক্ষ থেকে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছি।
আপনারা ১৩ জন মিলে সংসদের কোন উপকার করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে চুন্নু বলেন, সংখ্যাটা দেখলে দেখা যাবে, আপনি যদি সংখ্যার দিকটা দেখেন গত পার্লামেন্ট অপজিশন অনেকেই ছিল। কিন্তু দিনের পর দিন সংসদ বর্জন করেছে। মাসের পর মাস বছরের পর বছর বর্জন করেছে। অপজিশন নেতা ৫ বছরে মাত্র ১০ দিন পার্লামেন্টে এসেছিলেন। তাই ওইরকম সংখ্যা দিয়ে লাভ কি। ১৩ জন যদি আমরা অ্যাক্টিভ থাকি জনগণের পক্ষে কথা বলি, সাহসের সঙ্গে জনগণের মনের কথা বলতে পারি সংখ্যাটা বড় নয়। কম সংখ্যা দিয়েও জনগণের পক্ষে কথা বলা যায়। কম সংখ্যা দিয়েও পার্লামেন্টকে কাঁপানো যায়।
জাতীয় পার্টির এই নেতা আরও বলেন, আপনারা ইতিহাস নিশ্চয় জানেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যখন সংসদ নেতা ছিলেন, তখন সংসদ কাঁপিয়েছিলেন মাত্র একজন সংসদ সদস্য প্রয়াত বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। মনে হচ্ছে বর্তমানে আমাদের সংসদে থাকা ১১ জনের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাই একাধিক মেয়াদে এমপি হয়েছেন। সংসদের কথা বলার ক্ষমতা আছে। আশা করি, এদেশের মানুষের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতি, সরকারের দুর্নীতি তুলে ধরে ঘাটতিগুলো ধরিয়ে দেওয়া সরকারের দুর্নীতি উচ্চকণ্ঠে গত পার্লামেন্ট বলেছি এই পার্লামেন্ট নিশ্চয়ই বলবো। এটা আমাদের ওপর জাতি ভরসা রাখতে পারেন।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অগ্রসর না করে জাতীয় পার্টি ধারাবাহিকতা নষ্ট করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা যা বলছেন তা বিএনপির কথা। যারা নির্বাচনে আসেননি। কিন্তু আমরা নির্বাচনে না গেলে কী হতো বলে মনে করেন? একটু চিন্তা করলেই উত্তর পেয়ে যাবেন। কারণ জাতীয় পার্টির ইতিহাস নির্বাচন বর্জনের নয়। নির্বাচন ছাড়া সংসদীয় রাজনীতিতে ক্ষমতা বিনিময়ের আর কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশে নির্বাচন না হলে এখানে অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সুযোগ ছিল। আমি মনে করি, দেশের মানুষের জন্য গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সঠিক কাজটি করেছি।
২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে গণতন্ত্র বাঁচিয়েছেন নাকি সরকার বাঁচিয়েছেন নাকি নিজের অস্তিত্ব বাঁচিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা যেভাবে খুশি নেন। আমরা মনে করি গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে।