Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / নির্বাচনের সময় যে সকল দায়িত্ব পালন করতে মাঠে নামবে সশস্ত্র বাহিনী

নির্বাচনের সময় যে সকল দায়িত্ব পালন করতে মাঠে নামবে সশস্ত্র বাহিনী

৭ জানুয়ারির নির্বাচনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এই সময়ে সশস্ত্র বাহিনী কী কী দায়িত্ব পালন করবে তা জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বরাষ্ট্র সচিবের পরিপত্র অনুসারে, ফৌজদারি কার্যবিধি ও অন্যান্য আইনের বিধান অনুসারে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা ‘‌ইনস্ট্রাকশন রিগার্ডিং এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ারের’ বিধান অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনীর কার্যক্রম সম্পন্ন হবে; রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে প্রয়োজন অনুসারে উপজেলা বা থানায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হবে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সশস্ত্র বাহিনী অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা প্রদান করবে; সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে টহল ও অন্যান্য আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন এবং রিটার্নিং অফিসার বা প্রিজাইডিং অফিসারের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে কিংবা ভোট গণনা কক্ষের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করবে।

এতে আরও বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনীর টিমের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মোতায়েন করা হবে এবং আইন, বিধি ও পদ্ধতিগতভাবে কার্যক্রম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপকূলীয় এলাকায় প্রয়োজন অনুযায়ী নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে বলেও বলা হয়েছে; ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিটি জেলায় মোতায়েন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা কমানো বা বাড়ানো হতে পারে; বিমানবাহিনী প্রয়োজনীয়সংখ্যক হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও বাহিনীগুলোর অনুরোধে ওড়াতে সহায়তা করবে; সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশনা অনুসারে এলাকাভিত্তিক মোতায়েন পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে এবং বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধক্রমে চাহিদামতো আইনানুগ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহানগর এলাকায় ভোটকেন্দ্রে ১৫ থেকে ১৬টি পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ বাহিনী, মহানগর এলাকার বাইরে এবং পাহাড়ি ও প্রত্যন্ত এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্র এবং গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) ভোটকেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৭জন পুলিশ মোতায়েন করা হবে। প্রয়োজনে রিটার্নিং অফিসার এ সংখ্যা বাড়াতে পারেন।

এবারের নির্বাচনে ৫ লাখ ১৬ জন আনসার সদস্য, ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য, ২ হাজার ৩৫০ জন কোস্টগার্ড সদস্য এবং ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন বিজিবি সদস্য নিয়োজিত থাকবেন বলে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীর কতজন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার সম্প্রতি বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৫ হাজার সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। প্রয়োজনে এ বার আরও মোতায়েন করা যেতে পারে।

 

 

About bisso Jit

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *