প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল মন্তব্য করেছেন, বিএনপি ও সমমনা দলগুলো নির্বাচনে আসছে না, ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে না। গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সিইসি বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা অসাংবিধানিক ও আইনের পরিপন্থি। সংবিধানে সভা সমাবেশ করার যে অধিকারের কথা বলে হয়েছে তা শর্তসাপেক্ষে। এবারের নির্বাচন একটু ভিন্ন ধরনের, কারণ ২০১৪ সাল বাদে নির্বাচনের আগে সংঘাত ও সহিংসতার ঝুঁকি তৈরি হয়নি। কারণ নির্বাচনগুলো ছিল সার্বজনীন।
তিনি বলেন, যারা নির্বাচনের পক্ষে সভা-সমাবেশ করছে তাদেরও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। নির্বাচনে পক্ষে-বিপক্ষে মুখোমুখি হলে সংঘ”র্ষের আশ”ঙ্কা রয়েছে। আমরা চাই এমন কোনো ঘটনা যেন না ঘটে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হলে কোনো সমস্যা নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা থেকে নির্বাচন করতে হবে কমিশনকে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সচেতন হতে হবে ভোটকেন্দ্রে কোনো কারচুপি হচ্ছে কি না? যেকোনো উপায়ে জয়ী হওয়ার মানসিকতা থেকে প্রার্থীদের বেরিয়ে আসা উচিত বলেও মনে করেন সিইসি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এ নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের রয়েছে। ভোটের জন্য ১.২ লাখ জনবল প্রয়োজন, কিন্তু কমিশনের জনবল মাত্র ১৫০০। ফলে কমিশনকে বিভিন্ন বিভাগ থেকে জনবল নিতে হচ্ছে। সিইসি মন্তব্য করেন, কমিশনের একার পক্ষে নির্বাচন সফল করা সম্ভব হবে না, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্বাচন সফল হবে।
৫ জানুয়ারির নির্বাচন দেশে বা বিদেশে গ্রহণযোগ্য না হলে পদত্যাগ করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সরাসরি কোনো উত্তর দেননি সিইসি। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে কমিশনকে দায়ী করা যাবে না, দায় সরকারের ওপরও বর্তাবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এটি একটি রাজনৈতিক বিতর্কিত প্রশ্ন, রাজনৈতিক দলগুলোকেই এই বিতর্কের সমাধান করতে হবে। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্রসহ ২৭টি দল অংশ নিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, নির্বাচন বর্জনে কোনো বাধা নেই।