কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাক্কু বলেছেন নির্বাচন ভাল হয়েছে। তবে ভোট অনেক ধীর গতিতে হয়েছে কারন ইভিএম মেশিনে অনেক জায়গায় সমস্যা হয়েছে। তবে স্বতন্ত্র এই প্রার্থীর দাবি নির্বাচনে কারচুপি না হলে তিনি বিজয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং নির্বাচনে যা ফল হবে তিনি মেনে নেবেন বলে জানান।
সাক্কু বলেন, মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে। কিন্তু দ্রুত ভোট দিতে পারেননি। তাই বলা যায়, এবারের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ধীরগতিতে হয়েছে। অনেক কেন্দ্রে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ঠিকমতো কাজ করেনি। তবে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন ভালোভাবে ভোট দিয়েছে। ফলাফল যাই হোক, মেনে নেব।
বুধবার (১৫ জুন) নির্বাচন শেষে সারাবাংলাকে এ কথা বলেন মনিরুল হক সাক্কু। এসময় তিনি নির্বাচনের ফল তার পক্ষেই যাবে বলেও আশাবাদ জানিয়েছেন।
মনিরুল হক সাক্কু বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনেক ভোটার আসতে পারেননি। মেশিন বিকল হয়ে যাওয়ায় অনেক কেন্দ্র থেকে ভোটাররা ফিরে গেছেন।
“আমার ধারণা এবং বিশ্বাস ছাড়া কেউ আমাকে পরাজিত করতে পারে না,” তিনি বলেছিলেন। কুমিল্লার জনগণ আমার প্রতি আস্থা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তবে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের সামনে নৌকার প্রার্থীরা বহিরাগতদের জড়ো করে মহড়া দিয়েছেন। তারা সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটার নন। এবং তাই আমি ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছি.
এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট নেওয়া হয় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১০৫টি কেন্দ্রে। সবগুলো কেন্দ্রেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট নেওয়া হয়। ভোট শেষে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও ফলাফল পরিবেশন কেন্দ্র থেকে একীভূত ফলঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ভোট শেষে কুসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬০ শতাংশের কম-বেশি (১-২ শতাংশ) ভোট পড়েছে। কয়েকটি কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ের পর পর্যন্তও ভোট চলছিল।
এবারের কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৯টি ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রেখেছে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে সদরের দক্ষিণের ১৯ থেকে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৩২টি ভোটকেন্দ্রকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় রাখা হবে বলেও জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
কুসিকের তৃতীয় নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগের দুই নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচিত হন মনিরুল হক সাক্কু। এছাড়া এবার কাউন্সিলর পদে ১০৮ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এই সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ১৭ হাজার ৯২, পুরুষ ভোটার এক লাখ ১২ হাজার ৮২৬।
প্রসঙ্গত, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক মেয়র সাক্কুর দাবি যদি ভোটে কারচুপি না হয় তিনি বিজয়ী হবেন। তবে তিনি বলেছেন নির্বাচন ভালো হয়েছে যা ফল হবে তিনি মেনে নেবেন।