গতকাল শেষ হয়ে গেল কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রিফাত জয়লাভ করেছেন। এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাক্কু খুব অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। তবে নির্বাচনে কারচুপি ঘটেছে এমন দাবি করেছেন সাক্কু। তিনি বলেছেন, একটি ফোন কলেই পাল্টে গেছে নির্বাচনের ফলাফল। এমন ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কথা বলেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা রবি চৌধুরী।
কুসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগে আমার কাছে বিশেষ কোনো ফোন আসেনি।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিসে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা। তিনি বলেন, কোনো চাপে তিনি ফলাফল ঘোষণা করেননি। স্বচ্ছভাবে ভোট হয়েছে।
তিনি বলেন, কুমিল্লা জেলা স্কুল থেকে ফল আসতে অনেক দেরি হয়েছে। আমার কাছে ৪টি কেন্দ্রের সব রেজাল্ট পেপারস আছে। সব তথ্যের প্রমাণ আছে। আমরা ফলাফল কারচুপি করেছি এটা মিথ্যা।
দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের হা”তাহাতিতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায়। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ানোর জন্য কিছুটা সময় লাগানো হয়েছে। তবে সেটাও বেশি না।
তিনি বলেন, ফলাফল ঘোষণার সময় পরিস্থিতি জানতে সিইসিও ফোন করেছিলেন। কোনোভাবেই ফলাফল প্রভাবিত করেনি। মানুষ কমিশনকে ভুল বুঝছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।
এর আগে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মেয়র পদে বেসরকারিভাবে আ.লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ১০১টি কেন্দ্রে ৫০ হাজার ৩১০ ভোট পেয়েছেন। রিফাতের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টেবিল ঘড়ি প্রতীকে মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট।
ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৯ ভোট। গতকাল বুধবার (১৫ জুন) রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
কুসিকের ২৬টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। এ ছাড়া অন্য ভোটার রয়েছেন দুজন।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রদান করেছেন। এই নির্বাচনে স”হিং/’স কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে। তবে সাক্কুর সমর্থিতরা জানিয়েছেন, ভোট সুষ্ঠু হয়নি। নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেয়া হয়েছে, যেটা কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন বলা যাবে না।