দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আন্দোলনের গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও বিএনপি নেতারা বলছেন, তারা সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের দিকে যাচ্ছেন। তাদের মতে, জনসমর্থনহীন সরকার হাওয়ায় ভাসছে; যে কোন সময় পড়ে যাবে।
৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি কী লাভ করল বা কী হারালো তা নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। দলটির দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পর্যালোচনা চলছে। নেতাদের দৃষ্টিতে জনগণের ভোট বিমুখ করা এবং দলের ভাঙন ঠেকানোই ছিল এ আন্দোলনের বড় অর্জন।
নির্বাচনের পর পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবিতে প্রায় ১ মাসে মাত্র তিনটি কর্মসূচি পালন করে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। শীর্ষ নেতারা যেমন কারারুদ্ধ, তেমনি নেতৃত্বের সংকটও রয়েছে। তাই গ্রেফতার নেতাদের মুক্তির একমাত্র লক্ষ্য নিয়ে দল পুনর্গঠনের কথা বলছেন নেতারা। তৈরি হচ্ছে আন্দোলনের নতুন পরিকল্পনা। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, নির্বাচনের পর আন্দোলন কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
দলটির নেতারা বলছেন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের গুরুত্ব কখনোই কমে না। জনগণের সমর্থন বৃদ্ধির মাধ্যমে দাবি আদায়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন জোরদার করা হবে।
নেতাদের দাবি, জনসমর্থনহীন সরকার শিগগিরই পতন ঘটবে। সামনে অনেক জল গড়াবে। এতে রাজনৈতিক চালচিত্র কোথায় গিয়ে ঠেকবে বলা কঠিন বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
এ সময় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
”আন্দোলন তো এখনো দেখেননি কিছু। নির্বাচনের পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যে আন্দোলন হয়েছে, ঠিক সেভাবেই এ দেশেও আন্দোলন হবে। আন্দোলন মাত্র শুরু হয়েছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একটা ভিন্ন রূপ আছে। সেই রূপটা এখনো শুরু হয়নি।”
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, “৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কারচুপিতে নির্বাচন কমিশন সহযোগিতা করেছে। আমাদের অবস্থান আগের মতোই রয়েছে। যেখানে দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ ভোটদানে বিরত থেকেছে, সেখানে তারা আর কতদিন থাকতে পারবে? তাদের আটকে রেখে লাঠিপেটা করে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করছে?এখন সরকার হাওয়ায় ভাসছে। জনগণ নেই, ফাউন্ডেশন নেই। যেকোনও সময় ধসে পড়বে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেই এ সরকারের পতন হবে।’