প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হা/মলার মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বুধবার (১০ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন বিচারপতি।
এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর এ মামলায় আলমগীর হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। এর আগে ২২ নভেম্বর নিম্ন আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে।
গত ২৯ অক্টোবর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গুলশানের বাসা থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন তাকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগের দিন ২৮ অক্টোবর (শনিবার) বিএনপির সাধারণ সভা চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হা/মলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রমনা থানায় মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
ফখরুল-আব্বাস ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (এসআই) মো. অব.) আলতাফ। হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।