জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ইসলামী আন্দোলনে সাবেক বলে কিছু নেই, বরং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করে জান্নাতের অভিযাত্রী হওয়ার মাধ্যমে প্রত্যেক মুমিনকে মঞ্জিলে মকসুদের দিকে অগ্রসর হতে হবে। আর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে হতাশ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বরং বিজয় আমাদের মধ্যে অবধারিত।
মঙ্গলবার ঢাকায় জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল প্রীতি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. তাহের বলেন, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে জামায়াতের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। জামায়াত দেশি-বিদেশি সকল মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, সাময়িক ঘটনার কারণে হতাশ না হয়ে আবার শুরু করতে হবে। আপনার সমস্ত কাজের জন্য আপনাকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি তৈরি করতে হবে।
এর আগে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি মঞ্জুরুল ইসলাম মুহাম্মদ রেজাউল করিম ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের ইনচার্জ আমীর আবদুর রহমান মুসাসহ আরও অনেকে।
মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, জীবনের কোনো অংশেই কারো জন্যই আন্দোলন থেকে বিচ্যুত হওয়ার সুযোগ নেই। আর এই মহতী কাজের আঞ্জাম দেওয়ার জন্য আমাদের প্রত্যেককে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে হবে কর্মীদের চরিত্র মাধুর্য ও নেক কর্মতৎপরতার মাধ্যমে। তাহলে দ্বীনের বিজয় অনিবার্য হয়ে উঠবে।
রেজাউল করিম বলেন, আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে খেলাফতের দায়িত্ব দিয়ে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। আর খলিফা বা প্রতিনিধির দায়িত্ব হলো মহাপ্রভুর দেওয়া সব দায়িত্ব যথাযথভাবে সম্পাদন করা। সে কাজে আঞ্জাম দিতে গিয়েই আমাদের ভাইয়েরা ২৮ অক্টোবর শাহাদাতের অনন্য নজরানা পেশ করেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে আবদুর রহমান মুসা বলেন, আপনারা দ্বীনের পথের পথিকৃৎ। আমরা ধর্মের পতাকা আপনাদের হাতে তুলে দিতে চাই। জনগণের আশা-আকাঙ্খা বাস্তবায়নে আপোষহীনভাবে মাঠে কাজ করতে হবে।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য ড. মাওলানা হাবিবুর রহমান।
এ সময় কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা ও সহ-সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দিন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।