অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ইস্যুতে সরকার চাপে রয়েছে। তবে চলমান প্রক্রিয়ায় ভোট হলে আসতে পারে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা, হতে পারে আরেকটি নতুন নির্বাচন। বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এক মঞ্চে নয়, দাবি আদায়ে বিএনপি-জামায়াতকে আলাদাভাবে রাজপথে নামতে হবে।
এই তরুণ রাজনীতিবিদ ২০০০ সালে রাজনীতিতে সক্রিয় হন, কিন্তু তার বাবা নাজিউর রহমান মঞ্জুর মৃ/ত্যুর পর তিনি জাতীয় পার্টি-বিজেপির হাল ধরেন। ২০০৮ সালে ভোলা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সংসদে নানা বক্তৃতা দিয়ে আলোচিত হন। বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব থাকলেও গত আগস্টে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধভাবে অবস্থান নেয় তার দল বিজেপি।
ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ রাজনীতিসহ বর্তমান বিষয় নিয়ে দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমে-এর মুখোমুখি হয়েছেন। তিনি বলেন, জনগণের কথা মাথায় রেখেই নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, গত ৮-১০ বছরে আমি আমার অবস্থান জাতির কাছে, আওয়ামী লীগের কাছে স্পষ্ট করেছি, আমার অবস্থান কী। এ নির্বাচনে বিএনপি গেলেও আমি যাব না। কারণ এখানে একটা নৈতিক বিষয় আছে। আমি আমার জায়গা থেকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জনগণের পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
চলমান আন্দোলনে নেতৃত্বের সংকট নেই দাবি করে তিনি বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করার ক্ষমতা বিএনপির আছে। সার্বিক বিষয়ে বিএনপির হাইকমান্ডের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, বিএনপি চাইলে এ নির্বাচন বাধা দিতে পারে। বিএনপি তার কৌশলে চলছে। তারা প্রতিবাদের জায়গা ধরে রেখেছে। তারা যদি সিরিয়াসভাবে আবার মাঠে নামে, আমি বিশ্বাস করি স্বাভাবিকভাবে নির্বাচন করাটা কঠিন হবে।
চলমান প্রক্রিয়ায় ভোট হলে নির্বাচনের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পার্থ। নতুন নির্বাচন হতে পারে। বিজেপি চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের মাথায় আছে যে তারা বাংলাদেশের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে শুরু করবে, ইমবার্গো থেকে শুরু করবে, সরকারও যে বিষয়গুলো নিয়ে ভাবছে- যা এমন জাল পরিস্থিতিতে নির্বাচনের পর হতে পারে। সরকার তাদের নিতে পারবে কি না, সরকারের কাছে বিকল্প আছে, যদি নিতে না পারে, তাহলে তারা সংলাপের মাধ্যমে পুনর্নির্বাচনে যেতে পারে।
ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থও মনে করেন, দাবি আদায়ে বিএনপি-জামায়াতকে একই মঞ্চে না থেকে আলাদাভাবে রাজপথে থাকা উচিত।