নির্বাচনের পর বাংলাদেশে আরব বসন্তের মতো কাণ্ড ঘটানোর চেষ্টা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার এক বিবৃতিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করতে পারে ওয়াশিংটন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ করে আসছে রাশিয়া। এরই মধ্যে, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা ২৩ নভেম্বর প্রথম অভিযোগ করেন। ওই দিন তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস অক্টোবরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে মস্কোর অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে ওয়াশিংটন। শুক্রবার
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বাংলাদেশে আরব বসন্তের মতো পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে।
তার আগে (আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে) ওয়াশিংটন বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাসহ আরও কিছু চাপ প্রয়োগ করতে পারে। বাইডেন প্রশাসনের টার্গেট হতে পারে বাংলাদেশের প্রধান শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র অনেক কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করতে পারে। জাখারোভা মন্তব্য করেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অকাট্য প্রমাণ ছাড়াই এই অভিযোগ আনবে
বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, সড়কে যান চলাচল বন্ধ, বাস পো/ড়ানো এবং পুলিশের সঙ্গে সং/ঘর্ষের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে পশ্চিমা কূটনৈতিক মিশনের সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডের সম্পর্ক আমরা দেখতে পাচ্ছি।” বিশেষ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিরোধীদের সাথে বৈঠক, যা আমরা গত ২২ নভেম্বর ব্রিফিংয়ে কথা বলেছিলাম।
৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন না হলে ‘আরব বসন্ত’-এর আদলে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করতে পারে। এটা ‘দুর্ভাগ্যজনক’ হবে মন্তব্য করে জাখারোভা বলেন, রাশিয়া বিশ্বাস করে বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম জনগণ শাসন ইস্যুতে যে কোনো বহিরাগত শক্তির ‘ষড়যন্ত্র’ মোকাবেলা করে অবশেষে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।