১৩ জানুয়ারি তাইওয়ানে রাষ্ট্রপতি ও সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এই নির্বাচনকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়ার সময় তিনি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এ কথা মনে করিয়ে দেন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাইওয়ান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিপজ্জনক ইস্যু। এক বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এটি তাদের প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। বেইজিং দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানের মালিকানা দাবি করে। অন্যদিকে, তাইওয়ান নিজেকে স্বাধীন, সার্বভৌম বলে দাবি করে। এই হল উত্তেজনা। আগামী ১৩ জানুয়ারির নির্বাচনে সেখানকার ভোটারদের রায়ের ওপর নির্ভর করবে এই উত্তেজনার ফলাফল।
তাই চীন যখন ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তাই। এই মুহূর্তে ক্ষমতাসীন সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই চিং। তিনি ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী। তিনি জিতবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যদি তা হয়, বেইজিং ক্ষিপ্ত হতে পারে। কারণ তারা উইলিয়াম লাই চিংকে স্বাধীনতার পক্ষের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসেবে দেখেন। তিনি নির্বাচিত হলে তাইওয়ান প্রণালীতে উত্তেজনা অব্যাহত থাকবে। অন্যদিকে, তাইওয়ানের ভোটাররা যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা মেনে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ওয়াশিংটন। এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ররি ড্যানিয়েলস মনে করেন, নির্বাচনের ফলাফলই বলে দেবে এ ক্ষেত্রে কী চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। সেখানে চীনা সামরিক তৎপরতা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র উপযুক্ত রাজনৈতিক সংকেত ব্যবহার করার কথা ভাবতে পারে।
২০১৬ সালে ডিপিপির সাই ইং-ওয়েনকে যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন ভোটাররা তখন থেকেই তাইওয়ানের ওপর চাপ বৃদ্ধি করা শুরু করে বেইজিং। সব রকম আনুষ্ঠানিক সংলাপ বন্ধ করে দেয়। তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি করে। তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল এমন অল্প সংখ্যক মিত্রকে বাগিয়ে এনে বেইজিংয়ের সঙ্গে জোড়া দেয়া হয়। অন্যদিকে চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক আছে যুক্তরাষ্ট্রের। তাইওয়ানের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বড় সমর্থকও যুক্তরাষ্ট্র। তারা তাইওয়ানকে সুরক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। গত আগস্টে তাইওয়ানের কাছে বহু লাখ ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করে তারা তাইওয়ানের কাছে।