বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে দ্রুত। আর এই কারনে নির্বাচন নিয়ে এখন থেকেই চলছে নানা ধরনের প্রস্তুতি।এরই ধারাবাহিকতায় এবার জানা গেলো নতুন খবর।
এখন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নির্বাচন কমিশনের অধীনে নয়। মন্ত্রিসভা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার সাপেক্ষে আইডেন্টিটি কার্ড রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট-২০২২ -এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া জন্মের পর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়া হবে- এমন বিধান রাখা হয়েছে খসড়া আইনে।
সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
সচিব বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন কমিশন থেকে সরকারের হাতে যাচ্ছে। এনআইডি সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন-২০২২-এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
তবে তিনি আরও জানান, এনআইডি আইন চূড়ান্তভাবে পাস না হওয়া পর্যন্ত কাজটি এখনকার মতোই চলবে। আইনের ৩২টি ধারা কমিয়ে ১৫ করা হয়েছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এখন থেকে জন্মের পরপরই রেজিস্ট্রেশন করা হবে এবং সেই ইউনিক আইডিই হবে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর।
এ দিকে এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে সব খানে শুরু হয়েছে নতুন করে বেশ আলোচনা সমলোচনা। অনেকেই আবার প্রশ্ন করছেন নির্বাচনের ঠিক আগেই এমন ধরনের একটি সিদ্ধান্ত কিসের আলামত।