রাওয়ালপিন্ডি বিভাগের কমিশনার লিয়াকত আলী চাতা, যিনি ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে কারচুপির দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছিলেন, তাকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যম ডন এ খবর জানায়। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চাতা তার পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন লিয়াকত আলী চাতা। পরে পুলিশ তার অফিসে অভিযান চালায়। এরপর সেটি বন্ধ করে দেয়। প্রশাসন রেকর্ড জালিয়াতি ঠেকাতে অফিসটি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান স্থানীয় এক কর্মকর্তা।
পুলিশের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ডন জানিয়েছে যে চাতাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
রাওয়ালপিন্ডি জেলা প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে নির্বাচন সম্পর্কিত উপকরণ এবং তথ্য সুরক্ষিত রয়েছে এবং নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে লিয়াকত আলী চাতা বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি হয়েছে, আমি নিজেও বিষয়টির সঙ্গে জড়িত। শুধু অনিয়ম ও ফলাফল ঘোষণায় বিলম্ব হওয়াকে তিনি নিতান্তই কম। নির্বাচনে অনেক বড় জালিয়াতি হয়েছে। অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন যারা ৭০ থেকে ৮০ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন এবং তাদের আমরা জাল ভোট দিয়ে হারিয়ে দিয়েছি। এমন অনেক প্রার্থী আছেন যারা হেরে যেতেন; কিন্তু তাদের আমরা ভোট জালিয়াতি করে জিতিয়ে দিয়েছি।