ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সবাই যে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে তা নয়। তবে রাজনৈতিক সহিংসতা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে দেখা করতে যায় মানবাধিকার কমিশনের আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের সবাই আচরণবিধি ভঙ্গ করছে এটা আমি মানি না। আমরা নির্বাচনী মাঠ পরিদর্শন করেছি, প্রার্থী ও প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা অনেক অভিযোগ পাইনি। প্রশাসনের প্রতি প্রার্থীদের আস্থা আছে বলে আমরা জানি। কিছু ক্ষেত্রে সহিংসতা, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও পোস্টার ছিঁড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আমি বলছি না যে সহিংসতা একেবারেই ঘটেনি। আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি… তারা যেন এটা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন এবং ভোটের দিন যেন একটি সহজ-স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকে।
তিনি বলেন, আমরা মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। সহিংসতা ছাড়াই অহিংসভাবে নির্বাচন করা সম্ভব বলে আলোচনা হয়েছে। যারা নির্বাচন করবেন, তাদের উচিত হিংসার পথ পরিহার করে অহিংসার পথ বেছে নিয়ে ভোটারদের ভোট দিতে উৎসাহিত করা।
তিনি আরও বলেন, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা কম বলে উল্লেখ করেন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা থাকা দরকার, যাতে সামগ্রিকভাবে পারস্পরিক আস্থার রাজনীতি তৈরি হয়।
সিইসি বলেন, গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। অনেক গনমাধ্যম যেটুকু তার প্রয়োজন, তার আগে-পরে বাদ দিয়ে সেটি প্রচার করে, যা মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করে। নির্বাচনে গণমাধ্যমের ভূমিকা আরও বস্তুনিষ্ঠ হওয়া উচিত বলে বৈঠকে জানিয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।
এর আগে বেলা ১১টায় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সিইসিসহ কমিশনের অন্য কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে মানবাধিকার কমিশন সিইসির নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে।