বরগুনার বেতাগীতে আওয়ামী লীগের দলীয় পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন তিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা। অব্যাহতির পাশাপাশি ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন তারা। তবে সাধারণ সম্পাদক ছাত্তার মল্লিক সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এমন ঘটনায় বিস্মিত দলের অন্য নেতাকর্মীরা।
এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ দলের এই অভ্যন্তরীণ কোন্দল বসে মিটমাট করার ঘোষণা দিয়েছে।
জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগের তিন নেতার স্বাক্ষরিত তিনটি কাগজ ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আলোচনা-সমালোচনা শুরু করেন নেটিজেনরা।
দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করা তিন আওয়ামী লীগ নেতা হলেন- বিবচিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান টুটুল মৃধা, বিবচিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজিবুর রহমান ও হারুন অর রশিদ।
লিখিত অব্যাহতিপত্রে তারা বিবিচিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন।
বিচিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান টুটুল মৃধা বলেন, “সাধারণ সম্পাদক ছাত্তার মল্লিক দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করেছেন, অপমানজনক কথা বলেছেন এবং দলীয় প্রভাব খাটিয়ে নিজের ফায়দা হাসিল করেছেন। তা ছাড়া তিনি দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রমও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালনা করেন না। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা হয়েছে এক বছর আগে।
সভাপতি ও সম্পাদক এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেননি। তাই নিজেদের সম্মান বাঁচাতে দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছি। এদিকে বিবিচিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছাত্তার মল্লিক বলেন, নির্বাচন কমিটি করা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। যারা পদত্যাগ করেছেন তারা বিএনপির লোকদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন, আমি বাধা দিয়েছি, তাই তারা আমাকে বিতর্কিত করতে দলীয় পদ থেকে পদত্যাগের নাটক করেছে।
বিবিচিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম গাজী বলেন, এটি শুধু রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নয়, এখানে পারিবারিক বিষয় রয়েছে, সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে অব্যাহতি চাওয়া নেতাদের বিগত ইউপি নির্বাচনকালীনও বিরোধ আছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এবিএম গোলাম কবির বলেন, আমি যা শুনেছি, একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঢাকায় আছেন,তিনি এলাকায় আসার পর এ ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।