প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের সফরে গত ৫ সেপ্টেম্বর ভারতে গিয়েছেন। সেখানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠক করছেন। এদিকে বাংলাদেশ এবং ভারতের পরস্পরের সহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বন্ধুত্ব বজায় রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। নরেন্দ্র মোদির সাথে বেশ কয়েকটি চুক্তি সম্পাদন করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে ভারতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর নিয়ে ইঙ্গিত দিয়ে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর সমর্থন ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় থাকা কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি গঠন উপলক্ষে মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ’এই সরকার একেবারে নতজানু সরকার। বন্ধুদের সমর্থন ছাড়া এই সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকা কঠিন। তারা চাইবে, আগামী নির্বাচনের আগে সেখান থেকে…..পাওয়া যায় কিনা।
“আমরা বিশ্বাস করি যে, একটি দেশে মানুষের চাওয়া হলো গণতান্ত্রিক সরকার। আর এই সরকার তাদের দায়িত্ব বা ভূমিকা পালন করবে যেটা জনগণের প্রধান দাবি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে না। এই কমিশন আমরা মানি না। অবৈধ ও বেআইনিভাবে এই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। আমরা বলেছি- এই কমিশন দিয়ে আগামী নির্বাচন হবে না।
নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ না হলে অতীতে যে হাল হয়েছে এবারও তাই হবে। অর্থাৎ তারা কখনোই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। তাই এই নির্বাচন কমিশনার কী বললেন বা কী বললেন না তাতে বিএনপি বা জনগণের কিছু যায় আসে না।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির লক্ষ্য একটাই- এই অবৈধ সরকারকে সরিয়ে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। সংসদ বাতিল করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গত ১৫ বছরে আমরা দেখেছি- এই সরকার জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি। তাই বহির্বিশ্বে দেশের স্বার্থ রক্ষায় যেকোনো চুক্তিই তাদের জন্য এক ধরনের কঠিন কাজ। মিয়ানমারের ক্ষেত্রে আমরা তা লক্ষ্য করেছি। মিয়ানমার বারবার বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে অনুপ্রবেশ করেছে এবং গু”লি চালিয়েছে, কিন্তু এই নতজানু সরকার একটি প্রতিক্রিয়া জানানো ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি। একইভাবে এই সরকার ভারতের সাথে আমাদের যেসব সমস্যা আছে, যেমন অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন সমস্যা, সীমান্ত হ”/ত্যা ইত্যাদির সমাধান করতে পারেনি, কারণ তাদের কাছে জনগণের সমর্থন নেই।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যতবারই ভারতে গিয়েছেন, তিনি দেশের মানুষকে নানা আশা দেখিয়ে গিয়েছেন। তিস্তা চুক্তি হবে, এটা হবে, ওটা হবে। কিন্তু তিনি যা বলেন, তার কোন কিছুই সম্পন্ন হয় না। এগুলো নির্ভর করে বাংলাদেশের জনগণের শক্তির উপর। জনগণ যদি সরকারকে সমর্থন না করে তাহলে কোন কিছুই কার্যকর ভাবে হওয়া সম্ভব নয়।