এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও বিতর্কিত নাম সাকিব আল হাসান। সাকিব আল হাসান ও বিতর্ক কখনোই একে অপরকে ছাড়ে না। কয়দিন আগে ভক্তকে পিটিয়ে ক্যাপ দিয়ে মেরে বাজে আচরণ করা যেন নিত্যদিনের স্বভাবে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই বদলে গেলেন সাকিব।
এ মাঠের বাইরেও হাজারো ভিড়ের মানুষের ধাক্কাধাক্কিতেও মানুষ মানুষকে বুকে জড়িয়ে নিচ্ছেন মুখে থাকছে সেই চিরচেনা হাসি তবে কি পাল্টে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। ক্রিকেট মাঠে পাকা অলরাউন্ডার রাজনীতির খেলাও বুঝে ফেলেছেন। সারা বছর খোঁজ নেয় না নির্বাচনের আগে লোকজনের সাথে আগলা পিরিতি চারপাশের অবস্থা।
কিন্তু সে কারণে নির্বাচনের আগে থেকেই মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলছেন সাকিব। তিনি সবাইকে স্নেহ করছেন, সবার সাথে মিশছেন এবং সবাইকে আপন করার চেষ্টা করছেন। সাকিব অনেক বেশি নম্র এবং আন্তরিক কিন্তু পুরোটাই শোম্যানশিপ। গত শনিবার (১৮ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের নির্বাচন করতে মাগুরা-১, মাগুরা-২ ও ঢাকা-১০ আসন থেকে সাকিবের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়।
পরে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে দুপুরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন সাকিব। তিনি মাগুরা একটি আসন থেকে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন। নির্বাচন পর তিনি তার আসনের লোকজনের জন্য কাজ করবেন এটাই কি তার কাছ থেকে এখন প্রত্যাশা করা যায় নাকি নির্বাচনের পর পাল্টে ফেলবেন সেই চিত্র।
বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার সাথে টাইম আউট এবং সে ম্যাচে সাকিব তর্জনীতে ব্যথা পেয়েছিলেন এবং তারপর থেকে সে ইনজুরিতে আছেন তবে মাঠে কবে ফিরবেন সে বিষয়ে বলা যাচ্ছে না তবে তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ। নির্বাচনের পরে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে তিনি ফিরবেন খেলার মাঠে। সাকিবের আসনের লোকজন সাকিবকে অত্যন্ত ভালোবাসেন এবং তারা মনে করেন সাকিব দুর্নীতিতে জড়াবেন না এবং জনগণের জন্য কাজ করবেন।
মাশরাফি যেভাবে করে যাচ্ছেন সাকিব এলাকার ছেলে ও মানুষের ভালোর জন্য এবং এলাকার উন্নয়নে সাধ্যমত কাজ করবেন।মাশরাফিকে যেভাবে তার এলাকার লোকজন ভালোবাসেন সাকিব কেউ ঠিক সেভাবেই বরণ করতে চান মাগুরা এক আসনের লোকজন।