বিশ্ব ব্যাপি ছড়িয়ে পড়া রোগের কারনে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারচন বেগম খালেদা জিয়াকে। তাছাড়া দীর্ঘ দিন ধরে তিনি বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা ভুগছেন। আর সে কারনে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পক্ষ থেকে তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয় শর্ত সাপেক্ষে। নির্বাচনের পর্বে খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর প্রসঙ্গ তুলে যা বললেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
নির্বাচনের আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফেরত পাঠানোর সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দু/র্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত হয়ে বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তিতে রয়েছেন।
১৯ সেপ্টেম্বর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা পরিষেবা বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল, সাজা স্থগিত এবং আগের দুটি শর্ত বহাল রেখে তার মুক্তির সময়কাল ছয় মাস বাড়ানো হয়েছিল।
এর সঙ্গে ষষ্ঠবারের মতো কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। পঞ্চম পর্বে তার মুক্তির সময়কাল ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগের মতো খালেদা জিয়া ঢাকার বাসভবন থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং এ সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না- এই দুই শর্তে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দু/র্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যেতে হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দু/র্নীতি মামলায় তার সাজা হয়। দেশে বিশ্ব ব্যাপি ছড়িয়ে পড়া রোগ শুরু হওয়ার পর, খালেদা জিয়ার পরিবারের অনুরোধে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়। শর্ত হলো তাকে দেশে থাকতে হবে।
কারাগার থেকে বের হওয়ার পর খালেদা জিয়া গুলশানের ফিরোজার বাসায় যান, যেখানে তিনি এখন অবস্থান করছেন।
প্রসঙ্গত, নির্বাহী আদেশে কারগারের বাহিরে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি নেত্রী তবে তাকে নির্বাচনে আগে কারাগারে পাঠনোর হবে কিনা সেটির ব্যাপারে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, শর্ত সাপেক্ষে তিনি কারাগারে রয়েছেন।