কয়েক বছর ধরেই আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ক্রমান্বয়ে কমছে। এক বছর আগে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১২০-১৩০ মার্কিন ডলার ছিল, এখন তা ৭০-৮০ ডলারে নেমে এসেছে। ইদানীং ভারতের বেশিরভাগ অপরিশোধিত তেল রাশিয়া থেকে সস্তায় আমদানি করা হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেনি।
ভারতে পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন 2024 সালের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে৷ তার আগে, পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম কমিয়ে একটি বড় চমক দিতে পারে মোদী সরকার৷ সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, ভোটারদের মন জয় করতে কেন্দ্র সরকার এক ধাক্কায় পেট্রোল পণ্যের দাম কমানোর কথা ভাবছে।
কয়েক বছর ধরেই আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ক্রমান্বয়ে কমছে। এক বছর আগে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১২০-১৩০ মার্কিন ডলার ছিল, এখন তা ৭০-৮০ ডলারে নেমে এসেছে। ইদানীং ভারতের বেশিরভাগ অপরিশোধিত তেল রাশিয়া থেকে সস্তায় আমদানি করা হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেনি।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভারতে অপরিশোধিত তেলের দাম স্থিতিশীল পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই স্থিতাবস্থা বজায় থাকলে আগামী দিনে দাম কমানো সম্ভব হবে। লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চাইছে মোদী সরকার।
সরকারি সূত্রের খবর, কেন্দ্র পেট্রোল ও ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ৪ থেকে ৬ টাকা কমানোর কথা ভাবছে। আর তেল কোম্পানিগুলো সম্মত হলে লিটার প্রতি ১০ টাকা কমাতে পারে।
ভারতের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক এবং অর্থ মন্ত্রক সম্প্রতি এই বিষয়ে আলোচনা করেছে। তেলের দাম কমানোর জন্য ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রস্তাব জমা দিয়েছেন তারা।
২০২১ ও ২০২২ সালে দুই ধাপে পেট্রোল-ডিজেলের আবগারি শুল্কে ছাড় দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। আবার, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় ২০২৪ অর্থবছরে বিপুল লাভ করেছে ভারতের তিনটি সরকারি তেল বিপণন সংস্থা- ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম করপোরেশন এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম করপোরেশন।
তবে গত এক বছরে দেশে পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম কমেনি, বাড়েনি। তাই লোকসভা ভোটের আগে এই সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি সরকার।