Friday , November 15 2024
Breaking News
Home / Countrywide / নির্বাচনের আগের রাতে বিএনপি নেতার সাথে বৈঠক, নির্বাচন হতে সরে দাঁড়ালেন নৌকার প্রার্থী

নির্বাচনের আগের রাতে বিএনপি নেতার সাথে বৈঠক, নির্বাচন হতে সরে দাঁড়ালেন নৌকার প্রার্থী

বগুড়ার সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের আওয়ামীলীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলিমুদ্দিন তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি সরে দাঁড়াবার আগে ঐ ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বজলুর রশিদের সাথে একটি বৈঠক করেন এবং এরপরই তিনি নিরবাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর ঐ নির্বাচনী এলাকায় বিষয়টিকে ঘিরে আলোচনা শুরু হয়েছে।

আজ (রবিবার) সকাল থেকে দেশের এক হাজার ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে। এই এক হাজার ইউপির মধ্যে বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়ন পরিষদও রয়েছে। তবে গতকাল (শনিবার) ভোট আরম্ভ হওয়ার আগের রাতেই নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আলিমুদ্দিন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

নুনগোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আলিমুদ্দিনকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম। পাশাপাশি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বজলুর রশিদও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়।

নৌকা প্রতীকে প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আলিমুদ্দিন বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে নির্বাচন থেকে সরে আসার ব্যাপারে আমি শনিবার দুপুরের পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ খবর জানতে পেরে স্বতন্ত্র প্রার্থী বজলুর রশিদ সহযোগিতা চেয়েছেন। কিন্তু আমি তাকে সমর্থন দেইনি।’

উল্লেখ্য, নুনগোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহন আজ (রবিবার) সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়েছে। ঐ ইউনিয়ন পরিষদে ভোটার সংখ্যা ২২,২২১ জন। আলিমুদ্দিন যিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি ঠিক কী কারনে এমন ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা স্পষ্ট করেননি। তার এই ধরনের সিদ্ধান্তের পর তার কারন দর্শাতে হতে পারে মনে করছেন সেখানকার স্থানীয় রাজনৈতিকেরা। তার এই ধরনের সিদ্ধান্তে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দলের সমর্থকদের কাছ থেকে বেশ কিছু ভোট পেতে পারেন বলে জানান স্থানীয়রা।

About

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *