নির্বাচন কমিশনে ‘তৃণমূল বিএনপির’ নিবন্ধন পাওয়ার পরপরই মারা যান দলের প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। এরপর কয়েক দফায় দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন হয়। এখন বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী দলের চেয়ারপারসন এবং বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার ত্রিমূল বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আর নাজমুল হুদার মেয়ে অ্যাডভোকেট অন্তরা হুদা দলের নির্বাহী চেয়ারপারসন।
সংসদে ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও এখন পর্যন্ত তেমন প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে না। প্রয়াত নাজমুল হুদার ল চেম্বারে চলছে ত্রিমূল বিএনপির কার্যক্রম। যে কক্ষে মনোনয়ন বিক্রি ও গ্রহণ করা হচ্ছে তা আইনের বইয়ে ঘেরা। প্রথম কক্ষের দেয়ালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে নাজমুল হুদার বেশ কয়েকটি ছবি। অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো হেভিওয়েট নেতাকে এখন পর্যন্ত দলে যোগ দিতে দেখা যায়নি। তবে এমপি হওয়ার স্বপ্নে দেশের বিভিন্ন স্থানের রাজনীতিবিদদের সুলভ মূল্যে মনোনয়ন কিনতে দেখা গেছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে নতুন নেতৃত্বের আসন নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার পরিবারের সঙ্গে জটিলতার খবর এসেছে। এমনকি তৃণমূল বিএনপির নিয়ন্ত্রণ হারানোর আশঙ্কায় হুদা পরিবার। ঢাকার দোহার আসন বাদ দিয়ে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থী হতে অন্তরা হুদাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে গত শনিবার তৃণমূলের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হলেও শেষ দিনে বিকেলে অপরিচিত রাজনৈতিক মাঠ মুন্সীগঞ্জ-১ থেকে মনোনয়ন ফরম তুলেছেন তিনি। দলটির সাধারণ সম্পাদক বলছেন, দলে অন্তরা হুদাকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
এদিকে বিএনপি থেকে বেরিয়ে আসা কয়েকজন নেতা বিএনপির নেতৃত্বে রয়েছেন। দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেনকে বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, নিয়মের তোয়াক্কা না করে রাতের আঁধারে কেন্দ্রীয় কমিটির ৭/৮ জন সদস্য নিয়ে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এ দলের ভবিষ্যৎ তিনি দেখছেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ভুল-ভ্রান্তির ক্ষোভ ভুলে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চান বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর।
তফসিল ঘোষণার সাত দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো মনোনয়ন বিক্রি শুরু করতে পারেনি দলটি। গুলশান ২-এর নতুন কার্যালয়ে চলছে সাজসজ্জার কাজ। এদিকে মনোনয়ন কিনতে ভিড় জমিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ।
বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নেতৃত্বে ১৪ দলের জোট দুই শতাধিক মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে। ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও মোট কত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা যাবে তা নির্ভর করছে জোটের প্রার্থীদের ওপর। দলটির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, বিএনপিসহ অন্যান্য দল নির্বাচনে অংশ নিলে ভালো হতো।
তৃণমূল বিএনপিকে রাজার দল বলার আগে বিএনপির জন্ম দেখতে বলেন তৈমুর আলম খন্দকার। আর শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর বলেছেন- এটা অপবাদ।