বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে জরুরি চিকিৎসার জন্য মুক্তি দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। খবর এএফপির।
গত ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
হাইকমিশনার চিঠিতে বলেন, আমি আপনার (শেখ হাসিনা) সরকারকে অনুরোধ করছি তাকে (খালেদা জিয়া) মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য যাতে তিনি দেশের বাইরে জরুরি ও বিশেষায়িত চিকিৎসা নিতে পারেন।
চিঠিতে বলা হয়, খালেদা জিয়ার মুক্তি দুই পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক সংলাপ ও সমঝোতার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।
চিঠিতে হাইকমিশনার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গ্রেপ্তার সহ সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে এমন সব নির্বি’চারে গ্রেপ্তার বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন। নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করা হয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।
একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন একই আদালত।
২০২০ সালের মার্চ মাসে বিশ্বব্যাপী সৃষ্ট মহামারী শুরু হলে পরিবারের অনুরোধে নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে ছয় মাসের জন্য কারাবন্দী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় সরকার। এরপর নির্বাহী আদেশে ৬ মাসের জন্য কয়েক দফায় তাকে মুক্তি দেয় সরকার।