নতুন গঠিত হতে যাওয়া নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়ে এবার বিএনপি দাবি তুলেছে যে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় এবং একটি নিরপেক্ষ সরকার চায় বিএনপি। বিএনপির পক্ষ থেকে চাওয়া হয়েছে যে, রাষ্ট্রপতি সব রাজনৈতিক দল ও মহলের সাথে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করার মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকার গঠনের জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। একটি নিরপেক্ষ সরকার আসার পরই সেটা সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে যে কিভাবে নতুন ইলেকশন কমিশন গঠিত হবে এবং এতে কারা থাকবেন। এটাই বিএনপির নীতিনির্ধারকদের দাবি।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গতকাল রাতে দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, জনগণকে ঠকানো ছাড়া এ সরকার আর কিছুই করতে পারে না, প্রতা’রনার আর কোনো কিছু তো বাকি নেই। নতুন করে আবার প্রতারণা বা তামাশা এ দেশের জনগন চায় না। দেশের মানুষকে এত বোকা ভাবার সুযোগ নেই। আগে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে।
বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানিয়েছেন, ইসি গঠন প্রশ্নে চিঠি পাওয়ার পর রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে রাষ্ট্রপতির সংলাপে যাওয়া-না যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপি। তার আগে এ নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটিতেও ফের আলোচনা হবে। তবে স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠকে বেশির ভাগ সদস্য ইসি গঠন প্রশ্নে রাষ্ট্রপতির সংলাপে না যাওয়ার বিষয়েই মত দিয়েছেন। স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জানান, বঙ্গভবন থেকে চিঠি পাওয়ার পর অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। চিঠি পাওয়ার পর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সংলাপে না গেলেও অন্তত রাষ্ট্রপতির কাছে একটি বিশদ চিঠি পাঠানো হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব ও বর্ষীয়ান নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে সংলাপের চিঠি পাওয়ার পর বিষয়টি দলের স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা করা হবে। বিএনপি সংলাপে যাবে কি না, বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে। তবে তিনি বলেন, বিএনপি ইসি গঠনের বিষয়টি নিয়ে এই সময়ে কোনো কথা বলবে না। দলটির সিদ্ধান্ত হলো, নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন যদি না হয় সেক্ষেত্রে বিএনপি ওই নির্বাচনে অংশ নিবে না।
সংলাপে যাবে না বিএনপি, এই সিদ্ধান্তের পক্ষে দলটির নেতাদের যে যুক্তি সেটা হলো, ২০১২ ও ২০১৬ সালের দিকে পর পর দুই বার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে সংলাপে কোনো পজিটিভ ফলাফল আসেনি।