নির্দোষ হলে ড. ইউনূস বিবৃতি ভিক্ষা করতে যাননি মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিবৃতিদের বাংলাদেশে আসতে বলেন। ইউনূসের নথিপত্র পরীক্ষা করার আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ১৬০ জন বিশ্বনেতা বিবৃতি দিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘ভদ্রলোকের (ইউনুস) এতই আস্থা থাকলে তিনি চিঠির জন্য ভিক্ষা করতে যাবেন কেন? এখন কেউ ট্যাক্স না দিলে, শ্রমিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে, শ্রম আদালতে মামলা হলে তা বন্ধ করার কোনো হাত আছে কি? আপনি বিচারক.
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি চলমান মামলা। এছাড়াও আমরা কোনো বিচারাধীন মামলা নিয়ে আলোচনা করি না। বাইরে থেকে চিঠি এনে মামলা প্রত্যাহার করাই বা কে আমি কে? কিন্তু আদালত স্বাধীন।
বক্তাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে কেউ কর ফাঁকি দিলে সরকার কি তাকে নিয়ে নাচবে? এসব বক্তব্য মামলা স্থগিত করবে না। আদালত স্বাধীনভাবে বিচার করবে। আদালতের ভয় নেই। আইন চলবে তার নিজস্ব গতিতে।
তিনি বলেন, ‘আমি বলবো তথ্যদাতারা বাংলাদেশে এসেছিল। ইউনূসের নথিপত্র পরীক্ষা করেন তিনি। একজন বিশেষজ্ঞ পাঠান।’
এ সময় ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা শ্রমিকদের টাকা মারধর করে, ট্যাক্স ফাঁকি দেয়, লম্বা করে কথা বলে। এ এক আজব দেশ, এটা বাংলাদেশের রূপ?
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশি-বিদেশি তৎপরতা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আজ যারা নীতির কথা বলেন, সামরিক স্বৈরশাসকদের আমলে তাদের নীতি কোথায় ছিল। যারা ভোট চুরির মাধ্যমে উঠে এসেছেন তারা এখন সুষ্ঠু ভোটের কথা শুনছেন।