মানুষের জীবন সুখ ও দুঃখ হাসি কান্না দিয়ে গঠিত। তবে জীবন স!সংগ্রামে কেউ বিজয়ী হয় তো কেউ নিজের হারকে মেনে নিতে না পেরে সারা জীবনের জন্য না ফেরার দেশে চলে যায়। এই ধরনের ঘটনা বেশির ভাগ সময়ে প্রেমে পরাজিতদের মধ্যে বেশি লক্ষ্য করা যায়। তবে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এই ঘটনা কোন প্রেম ঘটিত বিষয় নয়। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া রোগে প্রয়াত হয়েছেন বাবা। অন্যদিকে মা যাবার পথে। দুই মেয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিল। এক পর্যায়ে তিনজনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেন এই সমস্যা থেকে তারা বেরতে হবে।
ভারতের দিল্লির বসন্ত বিহারে ( spring monastery Delhi ) একটি বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে একই পরিবারের তিনজনের নিথরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ওই দেগ গুলোকে ম//য়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তারা আ//ত্মহত্যা করেছে নাকি তাদের নিথর করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীরা বর্তমানে একটি ময়নাতদন্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে। দিল্লির বসন্ত বিহার এলাকার বসন্ত অ্যাপার্টমেন্ট সোসাইটিতে দুই মেয়ে আশিকা ( Ashika ) ও অনুকে নিয়ে থাকতেন মঞ্জু ( Monju )। গতবছর সারা বিশ্ব ছড়িয়ে পড়া রোগের কারণে প্রয়াত হন।তারপর থেকে মঞ্জু ( Monju ) বিছানা থেকে উঠার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
প্রতিবেশীদের দাবি, একের পর এক ঝড়ে বিধ্বস্ত গোটা পরিবার। মা-মেয়েরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে সেভাবে মেলামেশা করত না। তারা একাই থাকতেন। বেশ কয়েকদিন তাদের দেখা হয়নি। ফ্ল্যাটের দরজা খুলতেও কাউকে দেখা যায়নি। প্রতিবেশীরা কয়েকবার দরজায় ধাক্কা দেয়। তবে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশ সদস্যরা ফ্ল্যাটের বন্ধ দরজায় ধাক্কা দেয়। তারাও কারো কাছ থেকে কোনো সাড়া পাননি। এরপর পুলিশ সদস্যরা ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা আ//ত্মহত্যা করেছে বলে অনুমান পুলিশের। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি তদন্তকারীরা।
এলাকাবাসী সাথে এক সংবাদ কর্মীর সাক্ষাত কারে তারা জানায়। পরিবারের একমাত্র আয় ক্ষম ব্যক্তি ছিলেন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া রোগে পরলোকগমন করা ওই পিতা। সে প্রয়াত হওয়ার পর সংসারের বেহাল অবস্থা হয়। অন্যদিকে মা বিছানায় পড়ে আছে বেশ কয়েক মাস। তার ভালো কনো চিকিৎসার করছ বহন করাও ছেলে মেয়েদের খুব কঠিন হয়ে পড়ে। হয়তো এই জন্য তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।