সাকিব আল হাসান, বাংলাদেশ ক্রিকেট জগতের মধ্য দিয়ে তার পথ চলা শুরু। তিনি বামহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটম্যান এবং বামহাতি অর্থোডক্স স্পিনার হিসেবে অর্জন করেছেন সমগ্র বিশ্বে খ্যাতি। বাংলাদেশের হয়ে খেলা সর্বশেষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে বিবেচিত সাকিবকে বিশ্বের অন্যতম সেরা অল-রাউন্ডার হিসেবে গণ্য করা হয়।
তিনি যেমন তার অসাধারণ বলিং ও ব্যাটিং এক জন্য বিখ্যাত ঠিক তেমনিই, তিনি তার রাগ নিয়ন্ত্রন না করতে পারা ও নিয়ম ভঙ্গ করা নিয়েও তিনি হয়ে আছেন ক্রিকেট জগতে পরিচিত। ঠিক তেমনই সাকিবের এক নতুন নিয়ম ভঙ্গের ঘটনা সাড়া তুলেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
বিপিএল ফাইনালের আগের দিন ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস উপস্থিত থাকলেও বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান উপস্থিত ছিলেন না। ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে অংশ নেন তিনি।
নিয়ম উপেক্ষা করে বায়ো-বাবল ভেঙে এক পানীয়ের বিজ্ঞাপনে অংশ নিতে ছুটে যান সাকিব। তবে তার ফ্র্যাঞ্চাইজি জানিয়েছে, পেটের ব্যথার কারণে সাকিব অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি। বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
নোটিশের একদিন পর ফ্র্যাঞ্চাইজি ফরচুন বরিশাল বিসিবির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে। টুর্নামেন্ট চলাকালীন দল হোটেলের বাইরে গিয়ে সাকিব নিয়ম ভঙ্গ করেছে বলে স্বীকার করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজি। এ ঘটনাকে নিজেদের ভুল হিসেবে দেখছে বরিশাল টিম। বিসিবির একজন কর্মকর্তা তাদের চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বরিশাল ও সাকিবের শাস্তি হবে কি না সেটাই দেখার বিষয়। ম্যানেজড ইভেন্ট এনভায়রনমেন্ট (MEE) দ্বারা অনুসরণ করা হয়। যা টোকিও অলিম্পিকে অনুসরণ করা হয়েছিল।
সাকিবকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। টুর্নামেন্ট শেষে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পাপন বলেন, টুর্নামেন্টের মাঝখানে কিছু করা যাবে না। টুর্নামেন্ট শেষ হয়েছে, আমি নিশ্চিত এখনই করব। আমার পয়েন্ট হল (কিছু ক্ষেত্রে) এটি ভিন্ন হতে পারে না। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের দায়িত্ব এখানে বেশি ছিল।
তিনি আরও বলেন, সাকিব কীভাবে বায়োলজিক্যাল প্রটেকশন জোন ভাঙলেন! আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজিদের নির্দেশ দিয়েছি কীভাবে বায়োসিকিউরিটি জোন মেনে চলতে হবে। এটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে, এজন্য তাদের দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বিসিবি প্রধান আরও সাকিবকান্ডের সব দায় ফ্র্যাঞ্চাইজিকে দায়ী করে বলেন, এ ধরনের ঘটনার জন্য সাকিবের দায় ফ্র্যাঞ্চাইজির চেয়ে বেশি। তবে এবার দায়িত্ব ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। এটা বিসিবির অধীনে হয়নি। বিসিবি দায়ী নয়।
সাকিব আল হাসান, তিনি হাজারো নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের কাছে অনুপ্রেরণার আর এক নাম। কিন্তু তিনি তার রাগ ও নিয়ম ভঙ্গের জন্যও তিনি বার বার উঠে আসেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
প্রতিটা খেলোয়াড়ের উচিত দলের কিছু নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলা কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সাকিব সে সকল নিয়ম কানুন মেনে চলে না। আর তার এসব কর্মকান্ডের জন্য তাকে দিতে হয়েছে অনেক সময় জরিমানা, কখনও বা তাকে ক্রিকেট জগতের নিয়মনীতি ভঙ্গের কারনে দীর্ঘ দিনের জন্য খেলার জগৎ থেকে বাদও দেওয়াও হয়েছে। তবে সেই ধকল কাটিয়ে উঠে তিনি ফের নিয়মিত হয়েছেন ক্রিকেটে।