শেষ হয়ে গেল কাতারে আয়োজিত বিশ্বকাপ ফুটবল। আর এই বিশ্বকাপে শিরোপা জয় করে নিল আর্জেন্টিনা। ফুটবলের এই জনপ্রিয় দেশটি ফ্রান্সের বিপক্ষে খেলতে নামে ফাইনালে। আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্সের মধ্যে নির্ধারিত সময়ের খেলায় ২-২ গোলে ড্র হয়, যার কারণে অতিরিক্ত সময় দেয়া হলে সেখানেও ১-১ গোল করার পর ড্র হয়। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। এই ম্যাচে ১টি গোল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম L’Equipe দাবি করেছে, “অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হয়ে গোলের আগে মাঠে ঢুকে পড়েন দুই আর্জেন্টাইন ফুটবলার। নিয়ম অনুযায়ী গোল বাতিল হওয়ার কথা।
ফিফার নিয়মানুযায়ী, কোনো গোল হওয়ার পর, গোলের আগেই রেফারি যদি মাঠে কোনো অতিরিক্ত খেলোয়াড়কে লক্ষ্য করেন, তাহলে গোলটি বাতিল করে খেলা আবার শুরু করতে হবে। যেখানে অতিরিক্ত খেলোয়াড় মাঠে ছিল সেখান থেকে ফ্রি-কিক দিয়ে খেলা শুরু হবে।
গোলটি ভারে চেক হলেও অতিরিক্ত খেলোয়াড়ের মাঠে ঢোকার বিষয়টি চেক করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করেনি এল একুইপ।
ফ্রান্সের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে ড্র করেছিল কাতার। অতিরিক্ত সময়ের ১০৮ মিনিটে গোল করে আবারও আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি। দ্রুত আক্র”মণে গোল করেন মেসি।
লাউতারো মার্টিনেজের শট দুর্দান্তভাবে সেভ করলেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি লরিস। ফিরতি বল মেসির হাঁটুতে লেগে গোলে ঢুকে যায়। অফসাইডের আবেদন করেছিল ফ্রান্স। তবে ভার-এর চিত্রে দেখা যায় যে, ফরাসি ডিফেন্ডার কিছুটা ভিতরের দিকে ছিলেন। ফলে গোলের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে।
তবে ফ্রান্সের এই গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গোলটি পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে বাতিল করে দেওয়া উচিত ছিল। কারণ হিসেবে জানা গেল? গোল হওয়ার পূর্বেই আবেগী হয়ে ফাইনাল খেলার মাঠে ঢুকে পড়েন বেঞ্চের দুইজন খেলোয়াড়। তবে সেই দাবি নিয়ে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ফিফা।