গতবছর দেখা দিয়েছিল করনা ভাইরাসের সংক্রমণ যখন বেড়ে গিয়েছিল তখন লকডাউন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছিল গোটা দেশকে এবং সাধারণ যারা মধ্যবিত্ত এবং দিনমজুর ছিলেন তাদেরকে অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছিল এবং ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়েছিল সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে তবে গত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও দুস্থদের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
করোনাভাইরাসের উর্দ্বমুখী সংক্রমণের কারণে আরোপিত বিধিনিষেধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্নআয়ের মানুষের সহায়তায় বড় প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার তিনি লকডাউনের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৩ হাজার ২ শ’ কোটি টাকার ৫টি নতুন প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্যাকেজগুলো হলো
১. দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং নৌপরিবহন শ্রমিকদের জন্য জনপ্রতি নগদ আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তার জন্য ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ।
২. শহর এলাকার নিম্নআয়ের জনসাধারণের সহায়তার লক্ষ্যে ২৫ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ দিন ৮১৩টি কেন্দ্রে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বরাদ্দ ১৫০ কোটি টাকা।
৩. ৩৩৩-নম্বরে জনসাধারণের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে বিশেষ বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা।
৪. গ্রামীণ এলাকার কর্মসৃজনমূলক কার্যক্রমে অর্থায়নের জন্য পল্লী সংস্থান ব্যাংক ও পিকেএসএফ-এর মাধ্যমে ঋণ সহায়তা দিতে (৪ শতাংশ সুদে) এর আগে বরাদ্দ ৩ হাজার ২শ কোটি টাকার অতিরিক্ত বরাদ্দ এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
৫. পর্যটন খাতের হোটেল/মোটেল/থিম পার্কগুলো যাতে তাদের কর্মচারীদের বেতন/ভাতা পরিশোধ করতে পারে, সেজন্য ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে ৪ শতাংশ সুদে তাদের ‘ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল’ যোগাতে ঋণ দেওয়া হবে। সেজন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা।
বর্তমানে দেশের মানুষের জীবন একেবারেই বিঘ্নিত হয়ে পড়েছে বলা চলে মূলত বৈশ্বিক মহামারী এর কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান এই মহামারীর কারণে মানুষ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শুধু তাই নয় ভীতসন্ত্রস্থ এবং মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা সরকার এ সকল মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং যথাসম্ভব তাদেরকে সহায়তার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে