সংগীতশিল্পী শামসুন্নাহারের আত্মহননের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তার এমন অনাকাঙ্খিত কাণ্ড ঘটানোর কারণ সম্পর্কে জানতে উৎসুক নেটিজেনদের মন্তব্যের সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনা সুত্রে জানা যায় গত 2 আগস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহনন করেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী শামসুন্নাহার। এ ঘটনায় শামসুন্নাহার নিপার বন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগে স্পষ্টভাবে লেখা হয়েছে শামসুন্নাহারের প্রেমিক আমিরুল ইসলামের প্ররোচনায় আত্ম হনন করেছে তার বোন।
এ মামলায় বরিশালে তার প্রেমিক আমিরুল ইসলামকে (২৯) আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে নরসিংদী জেলা শহর থেকে আমিরুলকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারের পর আমিরুলকে বরিশালে নিয়ে শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গ্রেফতারকৃত আমিরুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার পূর্বহাটি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন জানান, আমিরুলকে বরিশালে আনার পর শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আমিরুল নরসিংদী শহরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২রা আগস্ট গভীর রাতে নগরীর উত্তর মল্লিকবাড়ি সড়কে উদীচী অফিস সংলগ্ন রাস্তায় জাহান ম্যানশন নামে একটি ভবনে ফাঁ/ স দিয়ে আ/ ত্মহত্যা করেন উদীচীর আবৃত্তি শিল্পী শামসুন্নাহার নিপা। সে তার ছোট বোনের সাথে ওই ভবনে থাকতেন। এ ঘটনায় নিপার বোন ডালিয়া আক্তার বাদী হয়ে ১৩ আগস্ট আ/ ত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, আমিরুল ইসলামের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নিপা আমিরুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু নীপাকে বিয়ে করা নিয়ে তর্ক করেন আমিরুল।
শামসুন নাহারের প্রণয়নের ঘটনা হত্যা না আত্মহত্যা এখনো পুরোপুরি স্পষ্ট নয় পুলিশ। এ মামলার তদন্ত এখনো চলমান অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া আদালতের নির্দেশে আসামি আমিরুল ইসলামকে বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।