আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিলেটসহ কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে এমনটাই জানিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও নিম্ন রংপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দৈনিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দুপুর ২টায় প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। অবশ্য প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটি পরে ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে।
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এ সময় প্রয়াতদের নিথর দেহ দাফন করতেও দুর্ভোগে পড়েছেন স্বজনরা। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ডা. ইয়োবায়ের মাহমুদ তার ফেস// বুক টাইমলাইনে বলেন, কিছুক্ষণ আগে আমার ইউনিটে এক রোগী প্রয়াত হয়েছেন। ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। রাস্তায় গাড়িও পাওয়া যাচ্ছে না। (নিথর দেহ) বাসায় নিয়ে যাবে কিভাবে? কবরই বা কিভাবে দেবে? আল্লাহ রহমত করুন। টানা বর্ষণে সিলেটে বন্যা আশঙ্কাজনক মাত্রায় পৌঁছেছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় শনিবার বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় আজ রেকর্ড পরিমাণ ২৫০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এলাকায় বন্যা বিপদের চরম মাত্রা ঘোষণা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরে বলা হয়েছে, বর্তমানে সুরমা, কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন ও খোয়াই নদীর পানি সব পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সুরমা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এমন অবস্থায় জলাবদ্ধতার মধ্যে রয়েছে বহু মানুষ। জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জলাবদ্ধ মানুষের জন্য উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। সুনামগঞ্জে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জেলার ধর্মপাশায় প্রায় ৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।