বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই মানুষ অর্থনৈতিকভাবে সমস্যার ভিতর দিয়ে যাচ্ছে। তার ভিতরে আবার যুক্ত হয়েছে রাশিয়া ইউক্রেনের ( Ukraine ) সংকট। সবকিছু মিলিয়ে দেশে যেন শুরু হয়েছে লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। দেশে সবকিছুর উৎপাদন ও আমদানি স্থিতিশীল অবস্থায় থাকলেও দ্রব্যমূল্যের কেন এমন ঊর্ধ্বগতি। বিষয়টি জানালেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়।
তিনি বলেন, সরবরাহ স্বাভাবিক, তবুও বাড়তি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। এবার ব্যবসায়ীদের মুনাফা সীমিত করার পরিকল্পনা করছে সরকার।রমজানকে সামনে রেখে খাদ্য মন্ত্রণালয় বাজারে তার দখলদারিত্ব শক্ত করছে। খাদ্য সচিব মো. মোছাম্মত নাজমানারা খানম ( Md. Moshammat Nazmanara Khanam ) বলেন, নিত্যপণ্যের দাম সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
এদিকে কৃষি অর্থনীতিবিদদের খাদ্য নির্ভরতা কমাতে এবং খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। গত ( Past ) দুই বছরে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগ মোকাবেলা করায় দেশের নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় কম দামে পণ্য কিনতে এখন টিসিবির লাইনে দাঁড়িয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি চালের মজুদ সর্বকালের সর্বোচ্চ। এরপরও ধাপে ধাপে বাড়ছে চালের দাম। উৎপাদন ভালো হলেও সবজির বাজার সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় রমজানকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই ব্যবসায়ীদের মুনাফা সীমিত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য সচিব। তবে আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি, কার্যকর কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। রাশিয়া ও ইউক্রেন সমস্যার এখনই ব্যবস্থা না নিলে দেশে সংকট আরও বাড়তে পারে বলে আশ/’ঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।
বিশ্লেষকেরা বলেছেন, প্রতিবছরই আমাদের দেশে রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হয়ে থাকে। সেজন্য প্রতিবছরই নেওয়া হয়, বাজার মনিটরিং এর উদ্যোগ। চলতি বছর রমজানের আগে থেকেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি লাগামহীন। বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনতে, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে অবশ্যই আইনী প্রক্রিয়া দ্বারা কঠো”রভাবে দমন করতে হবে। নাহলে দেশের জনগণ নাজুক অবস্থার ভিতর পড়ে যাবে।