সম্প্রতি ব্যবসায়ে লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে সেটি ফেরত না পাওয়ায় হতাশায় নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহনন করেছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গাজী আনিস। সাবেক এই ছাত্রনেতা ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির জড়িত ছিলেন। ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্য তিনি নিজের সর্বস্ব বিক্রির মাধ্যমে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু পরবর্তিতে সেটি ফেরত না পেয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে নিজের শরীরে আগুন দিয়ে মা/রা যান।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আত্মহত্যা করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা গাজী আনিস (৫৫)। সোমবার (৪ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। তবে তার শরীরে আগুন দেওয়ার কারণ সম্পর্কে তার স্বজনরা কিছু বলতে পারেননি।
আনিসুর রহমান কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাসের ছেলে। স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে কুষ্টিয়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন তিনি। ১৯৯১ সালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৩ সালে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হন। পরে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে আনিসুর রহমানের বড় ভাই ইসমাইল হোসেন রাজা বাংলা দেশের একটি অন্যতম গনমাধ্যমকে বলেন, আমার ভাই চাকরি করতেন। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার ছিলেন। পরে চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেন।
ইসমাইল হোসেন বলেন, “আমার ভাই শরীরের ব্যাপারে খুবই সচেতন ছিলেন। বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়া রোগের ছড়িয়ে পড়া থাকাকালীন সময়ে ঘরে বসে কাজ করেছেন। আমার ধারণা এটা আ/ত্মহত্যা নয়, তাকে হ/ত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। শুনেছি হেনোলাক্সের কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে তার। ওই টাকার জন্য ঢাকায় গিয়েছিল।। বিষয়টি বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে আমার কাজিনকে বলা হয়েছিল। এরই মধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় শরীরে আগুন দেওয়ার কথা জানতে পেরেছি আমরা। কিন্তু কেন শরীরে আগুন দিলো তা জানি না।
গাজী আনিসের ছোট ভাই তারেক হোসেন জানান, আনিস তার পরিবারের সঙ্গে কুষ্টিয়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি স্বনির্ভর নামে একটি এনজিও চালাতেন। শহরের তোফাজ্জল ক্লিনিকেও যৌথভাবে পরিচালনা করতেন। হঠাৎ কেন নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দিলেন আমরা বুঝতে পারছি না। আমরা বিষয়টি তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করছি।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, কী কারণে তিনি নিজের শরীরে আগুন দিয়েছেন, তা নিয়ে থানায় কোনও অভিযোগ দেননি স্বজনরা। এমনকি আমাদের কিছুই জানাননি তারা।
প্রসঙ্গত, সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা ব্যবসায় টাকা বিনিয়োগ করে ফেতর না পাওয়া এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানা যায়। কিন্তু প্রকৃত কি কারনে সে শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহনন করেছেন এখনো তা জানা যায়নি।