কলকাতার সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় নাম ছিল শ্রীলেখা মিত্র। একটা সময়ে কলকাতার সিনেমাতে তিনি ছিলেন পরিচিত মুখ। তবে সম্প্ৰতি কলকাতায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র তার অভিনয় ক্যারিয়ারে বাধাগ্রস্ত হয়েছেন। ঢাকায় ‘একবিংশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ উপস্থিত হয়ে একথা বলেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।
তিনি বলেন, “কলকাতার রাজনৈতিক বিষয়ে সবাই অবগত। আমি তাদের স্রোতে সাঁতার কাটতে পারিনি। যার কারণে আমি সবকিছু থেকে বঞ্চিত। আমি চাইলে অনেক কাজ করতে পারি। কিন্তু আমি সেটা করতে চাই না। মানসম্পন্ন সব কাজ এখন আমি আমার মন অনুযায়ী কাজ করতে চাই।
শ্রীলেখা মিত্রের কথায় এটা স্পষ্ট যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার রাজনৈতিক আদর্শকে সমর্থন না করার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সেটা অন্য জায়গা থেকে স্পষ্ট।
আক্ষেপ করে শ্রীলেখা বলেন, ‘নিজ শহর কলকাতা আমার সিনেমা দেখায়নি। কিন্তু বাংলাদেশ সাদর অভ্যর্থনা জানিয়েছে। বাংলাদেশে এসে প্রথমবার সিনেমাটি দর্শক সারিতে বসে দেখলাম। নিজ শহরে বসে দেখতে পারলে ভালো লাগত। আমার শহরের মানুষকে আমার নির্মাণ দেখাতে না পারার আফসোস আছে। এই দুঃখ থেকে যাবে।
শ্রীলেখা মিত্র অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনা ও প্রযোজনার সাথে জড়িত। ‘একবিংস ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এর অফিসিয়াল বাছাইয়ে স্থান পেয়েছে তার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘এবং ছাদ’। এ উপলক্ষে তিনি ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় আসেন। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরে প্রদর্শিত হয় ‘এবং ছাদ’। সিনেমা প্রদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন এই অভিনেত্রী।
এ অভিনেত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে এসে যে ভালোবাসা পেয়েছি তা কখনো ভুলবো না। কলকাতার মানুষ যে মর্যাদা দিতে পারেনি তা বাংলাদেশের মানুষ দিয়েছে। বাংলাদেশে দ্বিতীয় প্রযোজনা দেখাতে পেরে খুশি ও গর্বিত কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। এভাবেই ভক্তদের সঙ্গে নিজের অনুভূতি শেয়ার করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এ দিকে বাংলাদেশে এসে উষ্ণ ভালোবাসা নিয়ে ফিরে গেছেন শ্রীলেখা মিত্র। আর যাওয়ার আগে দেশের মানুষকেও দিয়ে গেছেন প্রতিদানের ধন্যবাদ।