Saturday , December 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / নিজ কার্যালয়ে ডেকে নারীকে কুপ্রস্তাব, কারাগারে সেই কাউন্সিলর

নিজ কার্যালয়ে ডেকে নারীকে কুপ্রস্তাব, কারাগারে সেই কাউন্সিলর

সম্প্রতি কিছুদিন আগেই নিজ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে এক নারীকে শ্লীলতাহানির চেষ্ঠার অভিযোগ উঠে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে। এবং পরবর্তীতে এ ঘটনা থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানিয়ে চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে একটি মামলায় দায়ের করেন ভোক্তভুগী ঐ নারী। আর এরই জের ধরে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) চিত্তরঞ্জন দাসকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা শুনানি শেষে জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর চিত্তরঞ্জন দাস আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তার ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।

বৃহস্পতিবার ধার্য তারিখে চিত্তরঞ্জন দাস আদালতে হাজির হয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী নজিব উল্লাহ হিরুর মাধ্যমে জামিন স্থায়ীর আবেদন করেন।

অন্যদিকে বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান, নিয়াজ মোর্শেদ নোমান জামিন বাতিলের আবেদন করে বলেন, আসামি জামিন পাওয়ার পর মামলা তুলে নিতে বাদিনীকে হুমকি দিচ্ছেন। সে বিষয়ে থানায় ডিজিও হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত জামিন বাতিল করে আসামি চিত্তরঞ্জন দাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে চিত্তরঞ্জনের নারীর শ্লীলতাহানির ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর ওই নারী সবুজবাগ থানায় মামলা করেন।

মামলায় অভিযোগে বলা হয়, সবুজবাগ কালীবাড়ি রাস্তা সংলগ্ন ওই নারীর শ্বশুরের দোকান রয়েছে। তার পাশের দোকানদার দোকান সংস্কার করতে গেলে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস গরিব চা দোকানদারের কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। চাঁদার ব্যাপারে সত্যতা যাচাই করার জন্য ওই নারী রাত পৌনে ৮টার দিকে চিত্তরঞ্জন দাসকে মোবাইলে ফোন দেন। চিত্তরঞ্জন দাস তাকে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তার রাজারবাগ কালীবাড়ি কার্যালয়ে যেতে বলেন। রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই নারী স্বামীসহ সেখানে যান। চাঁদার বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্তরঞ্জন দাস দুই চারটি কথা বলে তাকে পাশের কক্ষে বসতে বলেন। একটু পরে চিত্তরঞ্জন দাস ওই কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। ওই নারীকে বসা থেকে উঠে দাঁড়ানোর জন্য বলেন। ওই নারী উঠে দাঁড়ালে চিত্তরঞ্জন দাস তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। নানা রকম অঙ্গভঙ্গি করে তাকে কুপ্রস্তাব দেন।

মান-সম্মানের ভয়ে ওই নারী কোনো চিৎকার করেননি। চিত্তরঞ্জন দাস তাকে পরের প্রস্তাব দেন। ওই নারী হ্যাঁ বলে কোনো রকম নিজেকে রক্ষা করে ফিরে আসেন বলে মামলায় অভিযোগ করেন।

এ সময়ে নিজের বিরুদ্ধে উঠে আসা এ অভিযোগের আলোকে চিত্তরঞ্জন দাস দাবি করেন, ওই সময় নাটকের রিহার্সাল দিচ্ছিলেন তিনি। তবে ঐ নারীর করা অভিযোগ রীতিমতো অস্বীকার করে এ মামলায় তিনি যড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনার ঝড়। যেখানে দেখা যায়, ঐ নারীকে জড়িয়ে ধরে তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস।

About

Check Also

হাসিনাকে গার্ড করতে গিয়ে আমরা অশান্তি চাই না, ও দেশে ফেরত যাক

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার পতন ঘটে। এর পর থেকে তিনি পার্শ্ববর্তী দেশ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *