বর্তমান সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষাকার্যক্রম। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বৃদ্ধি পেয়েছে শিক্ষার হার এবং মান। অবশ্যে এই হার এবং মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। এবং এই খাতে প্রদান করছেন নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা। আজ নতুন বছরের পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রম উদ্ভাবনের সময় শিক্ষা প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নতুন বছরের পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি নিজে হাতে বাচ্চাদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে পারলাম না। এটিই দুঃখ আমার। তবে সে জন্য ক/রো/না/ই দায়ী।’ আগামী ৪ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে যাতে শিক্ষার্থীরা বই পায়, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
ক/রো/না ভাই/রা/সের প্রাদুর্ভাব রুখতে শিশুদের মাঝে বই বিতরণের অনুষ্ঠান হয়েছে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে। একই কারণে গত বছর এখানেই অনুষ্ঠান হয়। যে কারণে অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। তবে ক/রো/না মহা/মা/রী/র আগে এ অনুষ্ঠান গণভবনেই হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আজ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেন। নতুন বছরে ৪ কোটি ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৬ শিক্ষার্থীর হাতে ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ১৩০ কপি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী। ২০২১ সালে ধাপে ধাপে ৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬২ হাজার ৪১২টি বই বিতরণ করা হয়। মহা/মা/রী/র কারণে এবারও বছরের প্রথম দিন স্কুলে স্কুলে বই উৎসব হবে না।
দীর্ঘ দিন ধরে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠন বন্ধ ছিল বৈশ্বিক মহামারির প্রকপে। তবে এই সংকটময় পরিস্তিতির মধ্যে দিয়ে এসএসসি বোর্ড পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে সীমিত সিলেবাসে। এবং আজ প্রকাশিত হয়েছে ফলাফল। এবছরে দেশ জুড়ে পাসের হার ৯৩%।