রাজধানি ঢাকায় বিভিন্ন সময় দেখা যায় নানা ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটছে সড়কে কিংবা গনপরিবহনে এবং সেই সাথে দেখা যায় নানা ক্ষতির মুখে পড়ছে সাধারন যাত্রীরা। গনপরিবহনগুলোতে মাঝে মধ্যেই চুরি ছিনতাই সহ নানা ধরনের ঘটনা ঘটছে এবং এতে করে যাত্রীদের মনের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এবং অনেকের নানান মুল্যবান সামগ্রী হারিয়ে বা ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে। তবে এবার এক ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে ধরেছেন এক শিক্ষার্থী।
রাজধানীর মিরপুর থেকে বাসে আসা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সহযোগীতায় এক ছিনতাইকারী আটক হয়েছেন। তিনি কারো সাহায্য ছাড়াই একা একজনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। শুধু তাই নয়, ছিনতাইকারী দলের আরেক সহযোগীকেও কৌশলে পুলিশের হাতে তুলে দেন এই ছাত্রী।
এদিকে ছাত্রী হিসেবে একা দুই ছিনতাইকারীকে ধরলেও তার মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওই শিক্ষার্থী। গত বুধবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে।
মিরপুর থেকে বাসে করে পুরান ঢাকা যাচ্ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী। জানালা দিয়ে তার মোবাইল ফোন চুরি করে ছিনতাইকারী। সঙ্গে সঙ্গে বাস থেকে নেমে ছিনতাইকারীকে ধাওয়া করলেও তাকে ধরতে পারেননি তিনি। এরই মধ্যে আরেকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটতে দেখেন ওই ছাত্রী।
আরেক ছিনতাইকারী মহিলার ব্যাগ নিয়ে পালাচ্ছিল। ভুক্তভোগী ছাত্রী তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। ব্যাগ ছিনতাইকারীকে মাটিতে ফেলে নিজের মোবাইল ফোন হারানোর রাগ ঝাড়তে দেখা যায় তাকে।
ঘটনার সময় সেখানে জড়ো হন বেশ কয়েকজন। তাদের একজন ছিলেন দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার ফটোসাংবাদিক জীবন আহমেদ। তার সহায়তায় আটক ছিনতাইকারী দলের আরেক সহযোগীকে ধরে ফেলে ওই ছাত্রী।
জীবন আহমেদ জানান,ঐ ছাত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে তিনি চিন্তিত। কারণ এসব ক্ষেত্রে ছিনতাইকারী ছুরি দিয়ে আঘাত করার আশঙ্কা থাকে। তাই তিনিও ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে যান। কিছু দূরত্ব রেখে ব্যাগ ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। গ্রেফতারকৃত দুই ছিনতাইকারীর সাথে মেয়েটিকেও থানায় অভিযোগ জানাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পরে ওই ছাত্রী জানান, ওই দুই ছিনতাইকারীকে পুলিশে দিয়েছি। এখন পর্যন্ত পুলিশ আমার ফোন উদ্ধার করতে পারেনি। এটা পুলিশের ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন গনপরিবহনে নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে চলেছে এবং সেই সাথে দেখা যায় এই ছিনতাইকারীদের উপদ্রবে মানুষ একেবারে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে টাকা পয়সা কিংবা মুল্যবান সামগ্রীর পাশাপাশি আনেক সময় প্রানও চলে যাচ্ছে অনেকের এক্ষেত্রে প্রশাসনের ব্যর্থতাকে দায়ি করছেন অনেকে। তবে প্রসাশন তাদের সর্বচ্চ চেষ্টা করছে যাতে করে এই অপরাধমুলক কর্মকান্ড যাতে কমে তার জন্য