বলিউডের সেরা অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম একজন কাজল। তিনি ১৯৯২ সালে বলিউডে যাত্রা শুরু করেন “বেখুদি” চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে। তিনি ভারতের অন্যতম সফল এবং সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী। সম্প্রতি তিনি তার শৈশবের বেশ কিছু কথা তুলে ধরলেন।
কাজলের সাড়ে চার বছর বয়সেই তাঁর বাবা এবং মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। কিন্তু সোমু মুখোপাধ্যায় এবং তনুজা যদিও তাঁদের সম্পর্কের আঁচ তাঁদের দুই মেয়ে কাজল এবং তনিশার উপর পড়তে দেননি। কাজলই বলেছিলেন, মায়ের সঙ্গে তাঁরা আলাদা হয়ে গেলেও বাবা তাঁদের পাশেই ছিলেন। বছর কয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে কাজল তাঁর বড় হয়ে ওঠা নিয়ে কথা বলেছিলেন। যেখানে তনুজার শাসনের প্রসঙ্গও তোলেন তিনি। কাজলের কথায়, ‘‘মা এবং বাবা খুব প্রগতিশীল মানুষ। আর তাঁদের এই মানসিকতার সুপ্রভাব পড়েছিল আমাদের বড় হয়ে ওঠায়।’’ কাজল মনে করেন, সময় মতো তাঁর বাবা-মা আলাদা হয়েছেন। নয়তো এক সঙ্গে থেকে গেলে সমস্যা বাড়তে পারত। কাজল বলেন, ‘‘আমার নিজের মেয়ে হওয়ার পর মায়ের আত্মত্যাগের মূল্য বুঝি।’’
ছোটবেলায় তাঁকে ঘিরেই তনুজার দিন কাটত। তার জন্য মাঝে মধ্যেই পিঠে দু-চার ঘা পড়ত কাজলের। বলি তারকা দুষ্টুমি করলে কখনও তাঁকে ব্যাডমিন্টন র্যাকেট দিয়ে, কখনও বা থালা ছুড়ে মা/র/তেন তনুজা। কিন্তু কাজল ১৩ বছর বয়সে পড়তেই তনুজা তাঁকে বলেন, ‘‘আমি আর তোমাকে মা/র/ব না। এখন তুমি বড় হয়ে গিয়েছ। নিজের সিদ্ধান্ত, নিজের কাজের দায়িত্ব নিজেই নেবে।’’ যদিও সেই সঙ্গে এ কথাও জানিয়েছিলেন, যদি কখনও বড় কোনও ভুল করেন কাজল, তখন মা/র/ধ/র করতে দ্বিধাবোধ করবেন না তনুজা।
বলিউডে অসংখ্য সসিনেমায় অভিনয় করেছেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তার উল্লেখযোগ্যে বেশ কয়েকটি দর্শক নন্দিত এবং ব্যবসা সফল সিনেমা রয়েছে। তবে বলিউড ইন্ডাষ্ট্রিতে তিনি শাহরুখ খানের বিপরীতে জুঁটি বেঁধে বেশি কাজ করেছেন। এমনকি বলিউডে তাদের জুঁটি সবচেয়ে সেরা জুঁটিদের মধ্যে একটি।