জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করেছেন কৃষক আলম ওরফে ‘হাবু ভাই’। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকের এই অভিনেতা ‘হাবু ভাই’ নামে জনপ্রিয়তা পান। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন এই অভিনেতা।
এর আগে গত ২৪ আগস্ট কৃষক আলমের গ্রামের বাড়িতে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় অভিনেতার গাহলুদ। আর বিয়ের পর থেকেই নেটিজেনদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন এই ‘হাবু’ খ্যাত অভিনেতা।
তবে চাজি আলমের গায়েহলুদ অনুষ্ঠানের ছবি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই এই জুটির বয়স নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। অনেকে দাবি করেন, কৃষক আলমের বয়স ৫৬ বছর এবং তার স্ত্রীর বয়স ২১ বছর। বয়সের এই ব্যবধান নিয়ে কয়েকদিন ধরে চলছে নানা চর্চা। চাষী আলমের ‘সাবেক’ প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। অবশেষে এসব বিষয়ে খোলামেলা কথা বললেন কৃষক আলম।
এক সাক্ষাৎকারে কৃষক আলম বলেন, বিয়ের পর অনেকেই নানা কথা বলছেন, খবর হচ্ছে ৫৬ বছর বয়সে বিয়ে করেছেন কাবিলাকে না পেয়ে হাবুকে বিয়ে করেছেন। অনেক লোক মজা করছে, নিক। কিন্তু আমার বয়স কত, কেবিনের সময় আমার ন্যাশনাল আইডি কার্ড কাজ করেনি? তুলতুলের জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়া হয়েছে। তারা জানে আমার বয়স কত। নিক মজা নয়, তারা মজার জন্য নিচ্ছে।
বয়স প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার বয়স মোটেও ৫৬ নয়। এই সংখ্যার তুলনায় অনেক কম, অনেক কম। আবার আমার এক বন্ধু ছিল শিউলি। আমি ৩৩ বছর পর তার জন্য বিয়ে করেছি। হিসেব করলেও পাবেন। এ জিনিসগুলো কি?
একাধিক স্ত্রীর গুজব প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেছেন যে বিয়ে নিয়ে তিনি তার মায়ের কাছ থেকে অনেক বিব্রতকর প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন। কৃষক বলল, আমার মা একদিন একটা খবর দেখলেন। খবরে লেখা ছিল এটা হাবুর বিয়ের ৩ নম্বর। সেই খবর দেখে মা আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার স্ত্রীরা কোথায়? আমরা স্বাভাবিকতা নিচ্ছি। আমার ছোট বোন ঠাট্টা করছে, তোমার অন্য বউরা কই? তাই এসব খবর হবে। এটা হোক
নতুন জীবন শুরু প্রসঙ্গে তুলতুল বলেন, অসম্ভব ভালো লাগছে। আমি কখনই অনুভব করিনি যে আমি আমার পরিবারের কাছাকাছি নেই। আমার শাশুড়ি, বড় বোন খুব ভালো।