বাংলাদেশে চলছে লোডশেডিং। দেশের গ্যাস ঘাটতির কারনে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে আছে দেশে। এ দিকে দেশে চলমান লোডশেডিংয়ে ভুগছেন স্বয়ং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, গতকাল রাত দুইটার পর আমার বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল না। যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে ধৈর্য ধরার কোনো বিকল্প নেই।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে বিশ্বে জ্বালানি সংকটের বিষয়টি তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সক্ষমতার অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। স্পট মার্কেট গ্যাস আমদানি করতে না পারায় এমনটি হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা ভালো ছিলাম। ইউক্রেনে যুদ্ধের আগে আমরা ১০০% বিদ্যুতায়ন করেছি। এর মানে আমরা ১০০% বিদ্যুৎ সরবরাহ ক্ষমতা অর্জন করেছি। কে জানত যে এমন যুদ্ধ হবে?’
গত ১৯ জুলাই বিদ্যুৎ উৎপাদনের সীমাবদ্ধতা ঘোষণার দিন প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, প্রতিদিন এক ঘণ্টা লোডশেডিং থাকবে। কিন্তু তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগছিল। পরে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অক্টোবর থেকে লোডশেডিং হবে না। কিন্তু গত ৪ অক্টোবর দেশের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের পর ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ চার বিভাগে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।
লোডশেডিং করতে বাধ্য হয়েছেন উল্লেখ করে বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। গতকাল আমার বাড়িতেও রাত ২টার পর বিদ্যুৎ ছিল না। আমরা সবাই একসাথে। আমি বলব, একটু ধৈর্য ধরুন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ভেবেছিলাম অক্টোবরের দিকে আমাদের দাবি কমে আসবে। অক্টোবর-নভেম্বরে আবহাওয়া ঠাণ্ডা হলে আমরা ভেবেছিলাম চাহিদা কমবে। আর এই কম সময়ে আমরা ম্যানেজ করতে পারি।… কিন্তু আবহাওয়া গরম থাকায় চাহিদা একই থাকে।’
তিনি বলেন, লোডশেডিং কমা নভেম্বরের নতুন সময়সীমাও আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করছে। তিনি বলেন, “আশা করি নভেম্বরে তাপমাত্রা কমলে। তাপমাত্রা কমলে চাহিদা অবশ্যই কমবে। তারপর আমরা ম্যানেজ করতে পারব।
গত দুই মাস আগে বিদ্যুতের ঘাঁটি পূরণ করার জন্য নেয়া হয় লোড শেডিং এর ব্যবস্থা। তবে তা থেকে এখনো মেলেনি আশানুরূপ ফলাফল। আর এই কারণেই এই লোড শেডিং করা হয়েছে আরো বেশি দীর্ঘায়িত।