নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার একটি এলাকায় বিপ্লব হোসেন নামের ৩৫ বছর বয়সী এক কলেজ শিক্ষক তারই এক কলেজ ছাত্রীর সাথে খারাপ কাজ করা অবস্থায় ধরে ফেলে এলাকাবাসী। গতকাল সোমবার অর্থাৎ ১০ অক্টোবর দুপুরের দিকে এই ঘটনার পর মেয়েটির বাবা আত্মহ/’নন করার চেষ্টা করে, এরপর তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয় বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। অভিযুক্ত শিক্ষক বিপ্লব লালপুর ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক ও রামকৃষ্ণপুর গ্রামের সাহাবাজ মণ্ডলের ছেলে।
জানা যায়, দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের জেরে রোববার (৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মালোপাড়া গ্রামে কলেজছাত্রী একটি বেসরকারি স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক বাড়িতে গিয়ে খারাপ কাজের মুহুর্তে আটক করে ওই শিক্ষককে মা”রধ/র করে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে শিক্ষকের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে। এর আগেও নারী কেলে’/ঙ্কা’রির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এই শিক্ষক। তবে স্থানীয় প্রভাবের কারণে এসব ঘটনার যথাযথ বিচার হয়নি বলে সূত্রটি দাবি করেছে।
লালপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ইসহাক আলী শিক্ষক কেলে’ঙ্কারির এসব ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেন, শুনেছি লালপুর ডিগ্রি কলেজের বিপ্লব নামের এক শিক্ষক তারই এক ছাত্রীসহ আপ/’ত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন। এর আগেও ওই ছাত্রীর সঙ্গে ওই শিক্ষকের অনৈ”তিক সম্পর্ক চলছিল। এটা সত্যি হলে সমাজের জন্য এটা একটা নৈতিক অবক্ষয়। তারা সমাজকে সুস্থ করে তুলবে, কিন্তু শিক্ষকরা এমন ঘটনা ঘটালে এই সমাজ কোথায় যাবে?
এ বিষয়ে লালপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মাজেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। আর অভিযুক্ত শিক্ষককে একাধিকবার ফোন করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
শামীমা সুলতানা যিনি লালপুর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি এ ঘটনার বিষয়ে বলেন, আমি এখন পর্যন্ত কিছুই জানিনা। আপনাদের মাধ্যমে ঘটনাটি শুনলাম। এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে এবং যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।