পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী স্ত্রী একই দিনে আত্মহনন করেছে এমনই এক ঘটনায় মেহেরপুর জেলার এক গ্রামনে শোকের ছায়া পরেছে। প্রয়াত এই দম্পতি একসাথে একি স্কার্ফে ঝুলে নিজেদের প্রাণ দিয়েছে এমনটাই জানা গেছে স্থানীয়সুত্রে। প্রয়াত এই দম্পতিরা হলে সাগর হোসেন এবং তার স্ত্রী চামেলী খাতুন। ঘটনা স্থল থেকে পুলিশি সহায়তায় এই প্রয়াত দম্পতির নিথরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশসুত্রে জানা গেছে।
মেহেরপুরের গাংনীতে স্বামী-স্ত্রী একই সঙ্গে আত্মহনন করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে ধানখোলা উপজেলার কচুইখালী গুচ্ছ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রয়াতরা হলেন- মেহেরপুর সদর উপজেলার পাটকেলপোতা গ্রামের ইসতিয়াক হোসেনের ছেলে সাগর হোসেন (২৬) ও গাংনী উপজেলার কচুইখালী গুচ্ছগ্রামের কৃষক কালু মিয়ার মেয়ে চামেলী খাতুন (১৯)। স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার রাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ছেলে সাগরের সঙ্গে ইসতিয়াক হোসেনের ঝগড়া শুরু হয়। এ কারণে বাবার প্রতি অভিমান করে রাতে শ্বশুর বাড়িতে চলে যায় সে। পরে মঙ্গলবার বিকেলে চামেলী খাতুনের বাবার বাড়িতে স্কার্ফ পেঁচিয়ে আত্মহনন করেন স্বামী-স্ত্রী। বিয়ের পর থেকেই চামেলী খাতুন ও তার স্বামী সাগরের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল। তবে কেন তারা আত্মহনন করেছে তা কেউ বলতে পারছে না। চামেলী খাতুনের বাবা কালু মিয়া জানান, পারিবারিকভাবে চামেলী খাতুন ও সাগরের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল। তবে কি কারণে তারা আত্মহনন করেছে তা তিনি বলতে পারেননি। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় ঘটে যাওয়া দম্পতির একসাথে আত্মহননের ঘটনায় এলাকাবাসীসহ তাদের স্বজনের রীতিমত নিস্তদ্ধ। তাদের দম্পতি জীবন সুখেরই ছিল এমনটাই এলাকাবাসী ও তাদের পরিবারের বর্ননামতে জানা যায়। তবে কেন তারা এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে সে বিষয়ে এখন প্রর্যন্ত কেউ কিছু বলতে পারছে না। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে কি রয়েছে তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে সংশ্লিষ্ট প্রশসান।