সরকার বিরোধী মতকে দমিয়ে রাখার জন্য বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নানা ভাবে নির্যাতন, হয়রানি, মামলা করছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। বিদেশে টাকা পাচার করে দেশে অর্থনৈতিক অবস্থা সংকটের মুখে ফেলেছে সরকার অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোন কথা বললে তাদের নানা ভাবে দমন করে রাখার সব ধরনের কৌশল ব্যবহার করছে। যার প্র্রমাণ ভোলার পুলিশের উপর আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর আক্রমন ও গু/লি ছোড়া। সরকারে এমন কর্মকান্ড নিয়ে মন্তব্য করে যা বললেন পিনার্কী ভট্টাচার্য।
বিদ্যুতের দাবীতে হাসিনার পুলিশ দুইজন বিএনপি কর্মীকে গু/লি করে মারলো। অথচ বাংলাদেশের তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি, বিদ্যুৎ বিরোধী আন্দোলনের কুতুব গরীবের চমষ্কি আনু মুহাম্মদ, গরীবের অরুন্ধতী মাহা মির্জা, গরীবের পাব্লিক ইন্টেলেকচুয়াল কল্লোল মোস্তাফার একটা ফেইসবুকের স্ট্যাটাস লিখেও প্রতিবাদ করার সময় হয় নাই।
আমি সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে তারা সবাই আওয়ামী লীগের এই সো কল্ড স্যাকুলার এলিট এস্টাবলিশমেন্টের পার্ট। তাদের কাছে বিএনপি কর্মীরা মানুষ নয়, কোনো রাজনৈতিক সত্তা নয়, বিএনপির প্রতিবাদ কোনো প্রতিবাদ নয়, বিএনপি কর্মীদের রক্ত ও জীবনের কোনো মূল্য নেই। কিন্তু তাদের একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। সেটা হল নিজেদের গ্ল্যামারাইজ করা আর আওয়ামী বিরোধীদের ডিলিজিটিমাইজ করা, সোস্যালি এক্সক্লুড করা। নিজেদের গ্ল্যামার যতো বাড়বে, তত বেশী অন্যদের ডিলিজিটিমাইজ করা যাবে।
তাও ঘুরেফিরে বারেবারে নিজেদের কর্মীর রক্ত মাড়িয়ে নির্লজ্বের মতো এদের কাছে যায় বিএনপির নেতারা।
প্রসঙ্গত, সরকারে বিরুদ্ধে কোন ধরনের আন্দোলন করতে না দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করছে সরকার। তবে এ বিষয়ে নেতাদের আরও সতর্ক হওয়ার কথা জানালেন পিনাকী ভট্টাচার্য।