শ্রম আইন লঙ্ঘন করেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ মামলা করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।শ্রম আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসব কথা বলেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার পর শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আদালত চত্বরে যান তিনি। বেলা ১টা ১০ মিনিটে তৃতীয় শ্রম আদালতের জেলা ও দায়রা জজ শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে শুনানি শুরু হয়। এরপর আদালত কক্ষে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও মোঃ শাহজাহান কাঠগড়ায় দাঁড়ান।
পরে দুপুর ১টা ১৬ মিনিটে শারীরিক অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় বিচারক চার আসামিকে রুমের ভেতরের বেঞ্চে বসে শুনানিতে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেন। এরপর মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্য আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
৩৪২ ধারায় ড. ইউনূসসহ ৪ আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের জবানবন্দিতে বলা হয়, শ্রম আইনের ২৩৪ ধারা লঙ্ঘিত করলে সরকার ২৩৬ ধারায় অনেক গুলো
প্রতিকার রেখেছে। এটি আইনের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটা কোনোভাবেই ফৌজদারি অপরাধ নয়।
দেশের উন্নয়নে ড. ইউনূসের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশের এমন একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দেখান যে যিনি দেশের জন্য এত কিছু করেছেন। তিনি যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে এত বিদেশী ব্র্যান্ড কোম্পানিকে বাংলাদেশে এনেছেন। তিনি এত মানবসম্পদ সৃষ্টি করেছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তিনি নিজের আর্থিক লাভের জন্য কিছুই করেননি। এত অসংখ্য অবদান রেখেও এই নিঃস্বার্থ মানুষটিকে মিথ্যা অপরাধের বিচার ব্যবস্থায় দাঁড়াতে হয়েছে।
২০১১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও মোঃ শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়।
মামলায় লেবার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের স্থায়ী চাকরি না করা, সরকারি ছুটির টাকা নগদ না করার জন্য শ্রম আইন ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।