বর্তমানে বাংলাদেশের আইনকে নিয়ে ভরসা উঠে গেছে সাধারণ মানুষের এমনই মন্তব্য করেছেন অনেক সাধারণ জনগণসহ ও রাজনীতিবিদ। তারা মনে করেন অনেক অসাধু আইনের লোক রয়েছে যারা দেশের আইন কে বিকৃতি করে নিজস্ব আইন বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সাধারণমানুষের সাথে নিয়মিতই হয়ে চলেছে অন্যায় অবিচার। এবার এসকল বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য দিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
দেশে আইনে অবিচার আছে মন্তব্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, একজন নাগরিক হিসেবে আমি মনে করি এ দেশে বিধিবদ্ধ অবিচার আছে।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘মাল্টি-স্টেকহোল্ডার ন্যাশনাল ওয়ার্কশপে’ অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনের হাতিয়ার আলেমদের হাতে নেই। সর্বত্র অন্যায় এক ভয়ানক পরিস্থিতি। দারিদ্র্য বিমোচনের যন্ত্র যারা ব্যবহার করে না তাদের হাতেই ভুগতে হয়। এই লেখাগুলির জন্য পণ্ডিতদের পুরস্কৃত করা হয়। আমি মনে করি একজন নাগরিক হিসেবে এদেশে বিধিবদ্ধ অবিচার আছে। দেশে আইনের মধ্যেও অন্যায় আছে।
সমাজে এখনো অন্যায়-অবিচার আছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, আমরা এখনো মূল এলাকায় সাহায্য করতে পারিনি। যেখানে নানা রকম অন্যায়-অবিচার আছে, আমরা এখনো তা বন্ধ করতে পারিনি। যেমন গ্রামের জলাশয়ের প্রধান মালিক স্থানীয় জনগণ। কিন্তু প্রশাসনের সহযোগিতায় তা এখন ইজারা দেওয়া হয়েছে। যে মানুষ পোলা দিয়ে মাছ খেত সে এখন খেতে পারে না। কিনে খাওয়ার সামর্থ্য তার নেই। আমরা সবাই গ্রামে ছোট মাছ ধরতাম। কেউ জাল দিয়ে মাছ ধরতেন। আমিও মাছ ধরতাম। তবে মজার ব্যাপার হলো এখন গ্রামে কেউ মাছ ধরে না। আইন করে তা বন্ধ করা হয়েছে। এটা কতটা যৌক্তিক?
কর্মশালা পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ হাবিবে মিল্লাতসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, বর্তমান বাংলাদেশ সরকার সারাদেশের দূর্ণীতি অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বিভিন্ন ধরনের পন্থা অবলম্বন করছেন। তবে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না সাধারণ মানুষের সাথে হয়ে যাওয়া হয়নি কার্যক্রম। আইনের বেড়াজালে অনেক নিরপরাধ সাধারন মানুষ ভুগছে বছরের-পর-বছর।