শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার একটি এলাকার বাসিন্দা মিসকিন নামের ৩৫ বছর বয়সী এক যুবক নিজের গোপন স্থানের বিশেষ অঙ্গ নিজেই কেটে ফেলেছেন। এই ঘটনার পর ঐ এলাকায় আলোচনা শুরু হয়। তাছাড়া তিনি ঠিক কী করনে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সে বিষয়েও প্রশ্ন দেখা দেয় এলাকাবাসীদের মাঝে। তবে পারিবারিক কলহের কারণে এমনটি ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার গান্ধীগাও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মিসকিন ওই গ্রামের টগর আলীর ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মিসকিন দুই সন্তানের জনক। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিষিদ্ধ দ্রব্য সেবন ও গ্রহন করে আসছেন। তার স্ত্রী (৩০) গজনী অবকাশ বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের নিকট পানি বিক্রি করে সংসার চালান। স্বামী এমন হওয়ায় তাদের মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো। এমনকি মিসকিন ও তার স্ত্রীর একাধিকবার তালাকও হয়েছে। কিন্তু সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে তার স্ত্রী পরিবারে পুনরায় ফিরে আসে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের জঙ্গলে গিয়ে নিজের বিশেষ স্থানের অঙ্গ নিজেই কেটে ফেলেন মিসকিন। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে পরিবারের লোকজন তার জামাকাপড়ে র”ক্ত দেখতে পায়। একপর্যায়ে পরিবার বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত তাকে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
রোগীর অবস্থা খুব খারাপের দিকে যাওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তিনি শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মো. আমিনুল ইসলাম ঝিনাইগাতী থানার উপ-পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি এই ঘটনার বিষয়ে জানান, খবর পাওয়ার পর সেখানে পুলিশ টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিল। এ ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে এবং এরপর পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করছি।