গত বছর দুই আগে পাওয়া টাকা চাইতে গিয়ে নৃ’শং’সভা’বে ”হ”’ত্যা”র শিকার হন কামরুজ্জামান চৌধুরী সেলিম। ঘটনার ৯ দিনের মাথায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরবর্তীতে নিজে বাদী হয়ে থানায় মা/মলা দায়ের করেন সেলিমের স্ত্রী রেহেনা আক্তার রেখা।
এদিকে সোমবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত। কিন্তু আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট না হয়ে রেখা বলতে থাকেন, “আসামিরা মাত্র দুই লাখ টাকার বিনিময়ে আমার স্বামীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিয়েছে। সেই মামলায় আদালত তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। আমি এই রায় মানি না। আদালতের কাছে আমার দাবি আসামিদের ছেড়ে আমাকে ফাঁসি দেওয়া হোক। আমি আর বাঁচতে চাই না।তা না হলে আদালতে সবার সামনে আত্মহ/নন করব।’
সোমবার (২০ জুন) দুপুর সোয়া ১২টায় আদালতের বারান্দায় কথা বলছিলেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বাকতাবলী এলাকার বাসিন্দা রেহেনা আক্তার রেখা। একই দিন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাবিনা ইয়াসমিনের আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
তবে মামলার বাদী ও নিহত কামরুজ্জামান চৌধুরী ওরফে সেলিম চৌধুরীর স্ত্রী রেহেনা আক্তার রেখা এ রায়ে সন্তুষ্ট নন। তিনি আসামিদের ফাঁসির দাবি জানান।
আদালতের বারান্দায় কাঁদতে কাঁদতে রেহেনা আক্তার রেখা বলেন, আমার স্বামীর কখনো কারো সঙ্গে ঝগড়া হয়নি। কোটি টাকার ব্যবসা করেছেন। আর মাত্র দুই লাখ টাকার জন্য তাকে //হ///ত্যা// করে। এখন আমার একমাত্র ছেলে ছাড়া আর কেউ নেই। আসামিরা জেল থেকে বের হয়ে আমাকে ও আমার ছেলেকে শেষ করে ফেলবে। আমি যদি আদালত থেকে বিচার না পাই, তাহলে কার কাছে বিচার পাব?’এর থেকে ভালো আমি মরে যাই। আমি আর বেঁচে থাকতে চাই না।’
এ সময়ে আদালত প্রাঙ্গনে বেশ চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। স্বামী /হ///ত্যা/ মা/ম/লার বিচারে আসামিদের যাবজ্জীবন সাজার বিষয়টি কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না রেহেনা আক্তার রেখা। এই মুহুর্তে নিজের জীবন নিয়েও সং/শয়ের মধ্যে রয়েছেন তিনি।