গতকাল তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীকে নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, রিজভী সাহেব পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি, তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলে। এবার এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে জবাব দিলেন বিএনপির এই যুগ্ম-মহাসচিব। তিনি এবার আওয়ামীলীগকে উল্টো খাটো করার চেষ্টা করলেন।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
রোববার (৩ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, গতকাল একটা খবর দেখলাম। তথ্যমন্ত্রী বলেছেন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর নাকি আমাকে দেখা যায়নি। আমি তাকে বিনীতভাবে বলতে চাই, যখন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়েছিল, তখন মানুষ পানিতে ভাসছিল, হাহাকার করছিল, মানুষের সহায়সম্বল ভেসে যাচ্ছিল। সেই সময় জনগণ আপনাদের পদ্মা সেতুর জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রত্যাখ্যান করেছিল। জনগণ এটাকে পুরো জাতির সামনে তামাশা মনে করেছিল। কোটি টাকা ব্যয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও সেখানে কোনো জনসমাগম হয়নি। সমাবেশে ২০ লাখ লোকের সমাগম হওয়ার কথা থাকলেও ৫-১০ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন না।
রিজভী বলেন, “তথ্যমন্ত্রীকে একটা কথা বলতে চাই। পদ্মা সেতুর তথাকথিত জমকালো উদ্বোধনে আপনার ঘনিষ্ঠদের অনেককেই আমরা দেখিনি। আপনার তথাকথিত কোনো নেতা-কর্মীকে আমরা দেখিনি। পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেশের কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তিকে আমরা দেখিনি।
তিনি আরও বলেন, তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে বড় কথা, যে সেতু থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে টুস করে ফেলে দেবে, দেশের একজন গুণীজনকে চুবানি দেবে, সেই সেতুর গৌরবময় অনুষ্ঠান দেশের মানুষ দেখেনি। যে সেতুর সঙ্গে ভ”য়াবহ দুর্নীতি জড়িয়ে আছে, যেখানে এক টাকা খরচ হওয়ার কথা, সেখানে খরচ হয়েছে সাড়ে তিন টাকা। সেই টাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পকেটে গেছে, তারা কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে বাড়িঘর বানিয়েছে।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন দুই পাড়ে লাখো মানুষের সমাগম ঘটে, কিন্তু পদ্মা সেতুতে নিরাপত্তাজনিত কারণে সেই সমস্ত লোকদের পদ্মা সেতুর প্রান্তে হাজির হতে দেয়া হয়নি, এমনটিই জানা গেছে। তবে বিএনপির কয়েকজন নেতাকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন করা হলেও তারা হাজির হননি।