ঢালিউডের অপরাজেয় সুন্দরী অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপি। বছর দুয়েক ধরে আত্মগোপন করে আছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী এই অভিনেত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়া বা মোবাইল ফোনে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গুঞ্জন আছে, বিয়ে করে স্বামী-সংসার নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন পপি। তবে বাস্তবে এ ঘটনার সত্যতা মেলেনি।
একসময় এফডিসি বা শোবিজ পাড়ায় নিয়মিত দেখা গেলেও এখন পপির কাছের বন্ধুরাও তার কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। পপির পরিবারও জানে না সে কোথায় আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পপি বর্তমানে বিয়ে করে সংসার নিয়ে ব্যস্ত। সে আর পর্দার সামনে আসতে চাই না। স্বামীর ইচ্ছায় মিডিয়ার জগত থেকে নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন তিনি।
এদিকে চিত্রনায়িকা মৌসুমীর ফুফাত বোন পপি। সে হিসেবে চিত্রনায়ক ওমর সানীর শ্যালিকা তিনি। জানা যায়, মৌসুমী পরিবারের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ নেই এই নায়িকার। তারাও জানেন না কোথায় আছেন পপি।
তবে এর আগে পপির মায়ের দেওয়া এক বক্তব্যে খানিকটা গড়মিল নজরে পড়ে। তার ভাষ্যমতে, ২০০৭ সালের পর তারা একে অন্যের থেকে আলাদা আছেন। অথচ, ২০১৯ সালে পপির সুবাদে ‘গরবিনী মা সম্মাননা’ লাভ করেন মরিয়ম বেগম।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রধান অতিথি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তার হাতে সম্মাননা তুলে দেন। সে সময় পপিকে তার মায়ের সঙ্গেই দেখা গেছে। তবে মায়ের এমন বক্তব্যে সেসময় পপির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
কিন্তু চলচ্চিত্র ভক্তরা এখনও তাদের প্রিয় নায়িকাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। শিগগিরই পপি পর্দায় ফিরবেন বলে আশা করছেন তারা। যদিও সেই সিদ্ধান্ত হয়তো তারকারই। এখন সংসার সামলে আবারও পর্দায় নিজেকে খুঁজে পাবেন কি না সেটাই দেখার বিষয়।
প্রসঙ্গত, পপির কারণে আটকে আছে কয়েকটি সিনেমা। এর মধ্যে রয়েছে রাজু আলিম ও মাসুমা তানির ‘ভালোবাসার প্রজাপতি’ এবং আরিফুর জামান আরিফের ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সাদিক সিদ্দিকী পরিচালিত ডিরেক্ট অ্যাটাক সিনেমাটি।